ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ , আজকের সময় : শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

ভেড়ামারায় কৃষকেরা পানির জন্য হাহাকার

ভেড়ামারায় কৃষকেরা পানির জন্য হাহাকার

হেলাল মজুমদার কুষ্টিয়া কুষ্টয়ার ভেড়ামারায় জিকে সেচ প্রকল্প পাম্পের ইলেকট্রিক্যাল সার্কিট নষ্ট হওয়ার কারণে ৫ দিন হলো পানি সরবরাহ বন্ধ।

দিশেহারা চাষীরা, ক্ষয়ক্ষতির শংকা। দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষ বা জিকে সেচ প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরায় ১৩টি উপজেলায় মোট ৪,৮৮,০০০ হাজার একর জমি রয়েছে আমন চাষ সহ অন্যান্য ফসলের আবাদ কিন্তু আজ ৫ দিন হলো গঙ্গা – কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পে ইলেক্ট্রিক্যাল পাওয়ার (P L C) সার্কিট নষ্ট হওয়ার কারণে মোটর বন্ধ রয়েছে। এতে করে আমন ধান সহ অন্যান্য ফসলি জমিগুলো পানির অভাবে ফসলের জমিগুলো ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। এবং জমিতে আবাদি ফসল রোদে পুড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেচের পানির অভাবে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে গঙ্গা – কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের তিনটি পাম্পের মধ্যে দুটি পাম্প নষ্ট। একটি সচল ছিল সেটা আবার বৈদ্যুতিক কারণে নষ্টো হয়ে গেছে। বাংলাদেশের কৃষি কাজে ব্যবহৃত পানি সেচ প্রকল্প এত বড় একটা হওয়া সত্বেও কোন পানি সেচের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা না থাকাই সচেতন মহলে ক্ষোভ প্রকাশ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, পাম্পের পিএলসি পাওয়ার সার্কুলেশন ইউনিট ভোল্টেজ বেশি হওয়ার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। গত ১৮-০৯-২০২৩ ইং তারিখ হতে পাম্প বন্ধ রয়েছে। আমরা খুব শীঘ্রই এটা মেরামত করে ফেলবো। এই পি এল সি সুইচ জাপানের হওয়াতে বাংলাদেশে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আমরা চায়না অথবা কোরিয়া থেকে আমদানি করতে যাচ্ছি আশা রাখি খুব তাড়াতাড়ি আমাদের হাতে চলে আসবে। কৃষকরা বলছেন,গোদের উপর ফোড়ার ঘা । এরই মধ্যে উপজেলা জুড়ে আমন খেতে দেখা দিয়েছে গোড়া পচা রোগ ও মাজরা পোকার আক্রমণ। আমনচাষিরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন কীটনাশক প্রয়োগ করা হলেও কাজে আসছেনা। যদি এখনই মাজরা পোকার আক্রমণ ও গোড়া পচা রোগ দমন করা না যায়, তাহলে আমনের ফলন নিয়েও আশঙ্কা করছেন তাঁরা। আমন চাষের জন্য ভরা মৌসুমে গঙ্গা – কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প থেকে পানি পাচ্ছিনা। সেচ পাম্প মালিকদের কাছ থেকে বাড়তি খরচে কিনতে হচ্ছে পানি। ক্যানেলে পানি থাকতে ধান লাগাইছি এখন দেখছি পানি নাই। পানির অভাবে ধান সহ বিভিন্ন ফসল সবজি নষ্ট হয়ে গেল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানির আশায় আমরা অনেকে বোরিং বন্ধ করে দিয়েছি। প্রত্যেক বছরে আমরা ক্যানেলের পানি দিয়ে চাষাবাদ করি। এ সময় দেখছি পানি নেই খুব সমস্যার ভিতরে পড়ে গেলাম। এই ফসল মনে হয় আমরা আর করতে পারব না