রাজশাহীতে যুবদলের কর্মী দিয়ে চলছে যুবলীগের প্রচার প্রচারণা
রাজশাহী ব্যুরো: আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর হতে যাচ্ছে রাজশাহী মহানগর ও জেলা যুবলীগের সম্মেলন। সেই সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দ উৎসাহ থাকলেও সেটিকে ম্লান করছে প্রচারণার শীর্ষে থাকা সভাপতি পদপ্রার্থী তৌরিদ আল মাসুদ রনি। তিনি যুবদল, ছাত্রদল কর্মীদের নিয়ে জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও বিএনপির গা ঘেঁষা ছিলেন এমন মন্তব্য করে ফেসবুক ভাঁষিয়ে দিচ্ছেন ফুঁসে উঠা যুবলীগের তৃনমুল কর্মীরা। কিছুদিন আগেও যিনি শেখ হাসিনা বিরোধী ছিলেন, তিনি নাকি এখন যুবলীগের কান্ডারি। তিনি মিডিয়ার কাছে আরও বলেছেন তার টাকায় নাকি যুবলীগ চলে!! এমন আক্ষেপ পূর্ণ মন্তব্য করছেন যুবলীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা।
তাকে জুড়ে ইতমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে জোর সমালোচনা। কেউ বলছেল, তিনি আসলে কোন দলের তা পরিষ্কার নয়। তার সখ্যতা ছিলো জামায়াত- বিএনপি ও হেফাজতের সঙ্গে। স্বার্থের প্রয়োজনে ব্যবসায়ী ফায়দা হাসিলে বিএনপি, জামায়াতসহ বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গেও রয়েছে তার ব্যবসায়ীক লেনদেন। হেফাজত ইসলামের নেতারা মহানগর যুবলীগের ঐ নেতার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে হেফাজত পরিচালিত হাফেজিয়া মাদ্রাসা কমিটিতে তার নাম রেখে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। অতিথি হিসেবে উপস্থিতও হয়েছেন এই যুবলীগ নেতা। ২০১৩ সালে কোটা আন্দোলনে তার ছিলো মৌন সমর্থন। সে সময় সামাজিক মাধ্যমে শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়া’র কাউকে তিনি চান না বলেও একটি ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করেছিলেন।
এখন সকলের প্রশ্ন, তিনি আসলে কোন দলের? ঠিকাদারি ফায়দা হাঁসিলের জন্য সকলের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন এই রনি। আগামী যুবলীগের সম্মেলনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে উপর মহলে করছেন কোটি কোটি টাকার বিনিময় বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, আদিপত্য বিস্তার ও একপেশে কমিটি নিতে কেন্দ্রে জোর তদবির করছেন তিনি। আর মাঠে নামিয়েছেন যুবদলের কর্মীসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের। এছাড়াও একটি নিউজ পোর্টালের নেপথ্যে থেকে বিভিন্ন নেতা ও দপ্তরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ফাইদা নিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে রিনি বিরুদ্ধে। বিগত সময়ে মহানগর বিএনপির নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল মেয়র থাকাকালীন সময় এই রনি সিটি কর্পোরেশনের টেন্ডার কাজ এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। শুধু তাই নয়, মেয়র বুলবুলের সঙ্গে ছিলো তার গভীর সখ্যতা। সখ্যতা এতো গভির ছিলো যে, মেয়র বুলবুলের সঙ্গে তিনি বিদেশ সফর করেছিলেন। অপরদিকে রনি’র আরেক সঙ্গি মুকুল শেখ। তিনিও রনি”র লাও এ পা রেখে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে জোট বেঁধেছে। সূত্র বলছে, মুকুল শেখের পরিবারের সদস্যরাও বিএনপি সমর্থিত। তবে মেয়র বুলবুলের সমর্থকেরা এবার রনি’র পেছনের শক্তি হয়ে কাজ করছে বলে বিভিন্ন সুত্রে নিশ্চিত করছে। এমন অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে মহানগর যুবলীগের এই নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে একাধিক সাংবাদিক ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।