1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
নওগাঁয় বন্যার পানিতে পানি বন্দী শতাধিক গ্রামের মানুষ - dailynewsbangla
শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন

নওগাঁয় বন্যার পানিতে পানি বন্দী শতাধিক গ্রামের মানুষ

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নওগাঁয় বন্যার পানিতে পানি বন্দী শতাধিক গ্রামের মানুষ

মোহাম্মদ আককাস আলী  : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে পানি বন্দী শতাধিক গ্রামের মানুষ। নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙ্গনের ফলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার বিঘা জমির আউশ ও আমন ধানের ক্ষেত। তবে বৃষ্টি না থাকায় নদীর পানি কমতে শুরু করায় নতুন করে ভাঙ্গনের হাত থেকে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে নদীর তীরবর্তি মানুষ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
বুধবার রাণীনগরের ছোট যমুনা নদীর নান্দাইবাড়ি ও কৃষ্ণপুর নামক স্থানের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে পানির চাপে ভেঙ্গে গেছে নান্দাইবাড়ি নামক স্থানের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। ফলে আত্রাই-নাটোর ও নওগাঁর সঙ্গে বর্তমানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া নান্দাইবাড়ি, কৃষ্ণপুর, মালঞ্চিসহ ওই এলাকার প্রায় ৮ গ্রামের মানুষ বর্তমানে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার আত্রাই উপজেলার কাশিয়াবাড়ি-কালীগঞ্জ সড়কের বলরামচক নামক স্থানে, আত্রাই-সিংড়া সড়কের জগদাস নামক স্থানে ও পাশাপাশি শিকারপুর নামক স্থানের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়নের প্রায় ৮০টি গ্রাম বর্তমানে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া আত্রাই-বান্দাইখাড়া সড়কের নন্দলালী নামক স্থানে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধের অংশটুকু বন্ধ করায় রক্ষা পেয়েছে ওই এলাকার অনেক গ্রামের মানুষ।
সাংসদ মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল, পাউবোর অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আমিরুল হক ভূঞাসহ অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্তকর্তারা দুই উপজেলার ভাঙ্গন এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা হিসেবে আনোয়ার হোসেন হেলাল চাল বিতরণ করেছেন। সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসানের পক্ষ থেকেও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের তালিকা করা হচ্ছে।
অপরদিকে মান্দা উপজেলায় বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের ৭ গ্রাম। এ ইউনিয়নের নুরুল্লাবাদ ও পারনুরুল্লাবাদ এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ৪শো পরিবার এবং ফকিন্নি নদীর তীরবর্তী এলাকায় আরও অন্তত ৬শো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া প্রসাদপুর ইউনিয়নের বাইবুল্যা ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কয়লাবাড়ী এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫শো পরিবার। এছাড়া দীর্ঘদিন যাবত নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধ সংস্কার না করায় কিছু অংশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল জানান, শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত ছোট যমুনা নদীর লিটন ব্রিজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৭ সেমি, জোতবাজার পয়েন্টে বিপদসীমার ২৮ সেমি ও রেলস্টেশন পয়েন্টে বিপদসীমার ২৫ সেমির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি কমতে শুরু করায় নতুন করে আর কোথাও ভেঙ্গে যাওয়ার কোনো আশংকা নেই। সবার সহযোগিতা নিয়ে ভেঙ্গে যাওয়া অংশে জিও-ব্যাগ এবং বালুর বস্তা দিয়ে প্রতিরোধ করার কাজ চলছে বলেও তিনি জানান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আমিরুল হক ভূঞা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড স্থানীয় বাসিন্দা, জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ভেঙ্গে যাওয়া অংশগুলো বন্ধ করার কাজ চলমান রয়েছে। আমরা আশাবাদি নদীতে পানি কমতে শুরু করায় আর তেমন কোনো ভয়ের কারণ নেই। এলাকার মানুষদের রক্ষা করতে সরকারের পক্ষ থেকে সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তিতে ভেঙ্গে যাওয়া অংশগুলো স্থায়ীভাবে মেরামত করার প্রতি সুদৃষ্টি দিতে সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ