1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
বিলুপ্তির পথে লাঙ্গলের হাল - dailynewsbangla
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১১:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
মান্দায় ইউএনও শাহ আলম ইউক্যালিপটাসের চারা নিধন করলেন প্রেমের টানে মেয়ের নানার বাড়িতে ছেলের অনশন, বিয়েতে অনীহা ছেলের পরিবারের রূপগঞ্জের পূর্বাচলে জবাইকৃত ৫টি ঘোড়া উদ্ধার, একজন আটক বোয়ালমারীতে মাদক কারবারি আটক ভেড়ামারায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গন পরিদর্শন করলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মান্দায় মাদ্রাসা ভবন নির্মাণের সামগ্রী নিয়ে উধাও শ্রমিকেরা ঘোড়াঘাটে কম্পিউটার ও নেটওয়ার্কিং বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠিত অবশেষে আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে নওগাঁ পৌরসভার বেহাল রাস্তাগুলো  মৎস্যজীবীকে হত্যার ঘটনায় বোয়ালমারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের ঘোড়াঘাটে দুর্ধর্ষ চুরি, নগদ টাকা স্বর্ণালংকার লুট থানায় অভিযোগ

বিলুপ্তির পথে লাঙ্গলের হাল

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০
একসময় গ্রামবাংলায় এটি ছিল স্বাভাবিক চিত্র। ভোর হলেই গ্রামের কৃষক বেরিয়ে পড়তেন লাঙ্গল-জোয়াল, হালের গরু নিয়ে জমি চাষের জন্য।

মাহাবুব আলম রাণীশংকৈল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈল উপজেলায় আর দেখা যায় না কৃষকের কাঁধে লাঙ্গল- জোয়াল, হাতে জোড়া গরুর দড়ি। একসময় গ্রামবাংলায় এটি ছিল স্বাভাবিক চিত্র। ভোর হলেই গ্রামের কৃষক বেরিয়ে পড়তেন লাঙ্গল-জোয়াল, হালের গরু নিয়ে জমি চাষের জন্য। এখন যন্ত্রের আধিপত্যে গরুর হাল বিলুপ্তির পথে প্রায়।

জমিতে বীজ বপন অথবা চারা রোপণের জন্য জমির মাটি চাষার ক্ষেত্রে হাল ব্যবহার করে আর ওই মাটি মাড়িয়ে সমান করার জন্য মই ব্যবহার করা হতো। কৃষিকাজের জন্য ব্যবহৃত অন্যতম পুরনো যন্ত্র। এই কৃষিজমি আবাদের উপযোগী করার জন্য ষাঁড়, মহিষ প্রয়োজন হতো। লাঙ্গল দিয়ে হালচাষ করতে কমপক্ষে একজন লোক ও এক জোড়া গরু অথবা মহিষ প্রয়োজন ছিল। বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে রয়েছে লাঙ্গল-জোয়াল, মই, গরু ও মহিষ।

উপজেলা বাচোর ইউনিয়ন গ্রামের স্থানীয় কৃষকেরা জানান, একসময় রাণীশংকৈলে প্রায় প্রতিটি বাড়ির প্রতিটি ঘরেই ছিল গরুর লালন-পালন। গরুগুলো যেন পরিবারের একেকটা সদস্যের মতো ছিল। তাদের দিয়ে একরের পর এক জমি চাষ করার কাজে ব্যবহার করা হতো। তাজা ঘাস আর ভাতের মাড়, খৈল-ভুসি ইত্যাদি খাইয়ে হৃষ্টপুষ্ট করে তোলা হালের জোড়া বলদ দিয়ে জমি চাষে বেড়াতেন কৃষক।

রাণীশংকৈলে থাকা জমিগুলোতে এই চাষাবাদ করা হতো। হালচাষের জন্য ‘প্রশিক্ষিত’ জোড়া বলদের মালিককে সিরিয়াল দিতে হতো দিনের পর দিন জমি চাষে দেয়ার জন্য। চাষের মওসুমে তাদের কদর ছিল অনেক। উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, অনেকের জীবনের বেশির ভাগ সময় কেটেছে চাষের লাঙ্গল-জোয়াল আর গরুর পালের সাথে। গরু দিয়ে হাল চাষ করলে জমিতে ঘাস কম হতো, হালচাষ করার সময় গরুর গোবর সেই জমিতেই পড়ত। এতে করে জমিতে অনেক জৈব সার হতো। এ জন্য ফসলও ভালো হতো।

বর্তমানে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার কৃষিক্ষেত্রে অনেক সাফল্য নিয়ে এসেছে উল্লেখ করে রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্চয় দেব নাথ বলেন, কম সময়ে জমি চাষ করতে গিয়ে পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে। পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর মাটির গভীরে যেতে পারে। এটি দিয়ে জমি চাষ করা ভালো এবং আগের তুলনায় এখন ফসলের ফলনো হচ্ছে ভালো। কৃষকেরাও তাই এ দিকে ঝুঁকছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ