ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৩ , আজকের সময় : সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বহুতল ভবন নির্মাণ

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বহুতল ভবন নির্মাণ

মোঃবেল্লাল হোসেন
দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি দশমিনায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বহুতল ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। গত
মাসের ২৭ তারিখ স্থিতিবস্থা বজায়ের আদেশ কর্য্যকর ও বলবৎ রাখার জন্য আদালতের এক আদেশে
দশমিনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। কিন্তু আদালতের নিষেধঅজ্ঞার তোয়াক্কা না
করেই নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভ‚ক্তভোগী মো. রমিজ। তিনি
বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে নিজ ক্ষমতায় বাউন্ডারি ওয়াল ও বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন মো. আব্দুল আজিজ মিয়া।

জানা যায়, উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চরহোসনাবাদ গ্রামের মো. রমিজ ১৯৮৮ সালে
এস এ ৫২ নম্বর খতিয়ানের ১১ টি দাগ দিয়ে মোট সাড়ে ১৩ শতাংশ জমি আবু বকর মৃধার কাছ
থেকে নগদ টাকায় জমি ক্রয় করে ভোগ দখল বুঝিয়া নেন। জমি ক্রয়ের প্রায় ১০ বছর পরে ১৯৯৭
সালে মুল মালিক মো. রমিজকে নাবালক দেখিয়ে তার পিতা মো. আবদুর রহিমের কাছ থেকে
উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আজিজ ও তার ছেলে এ.বি.এম সালেহ সুমনের নামে সমহারে
পৃথক দুটি দলিল করেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালে চেয়ারম্যান আজিজ মিয়া ঘর উত্তোলন করতে গেলে জমির মূল মালিক মো. রমিজ ঘটনাটি জানতে পারে। এ ঘটনায় রমিজ দুটি দলিল বাতিল চেয়ে
১২৬/২০১২ ও ১২৭/২০১২ সালে আদলতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আজিজ মিয়ার পক্ষে ১২৬/১২ জজ কোর্ট রায় প্রদান করেন। অপর মামলাটি ১২৭/১২ মূল মালিক রমিজের পক্ষে আদালত রায় প্রদান করেন। ১২৬/১২ মামলার রায়ের বিরুদ্ধে রমিজ হাই কোর্টে সিভিল রিভিশন মামলা দায়ের করলে ২১ সালে আদালত স্থাগিতাদেশ রুল জারি করেন। অপর ১২৭/২০১২ মামলায় এ.বি.এম সালেহ সুমন রায়ের বিরুদ্ধে ছানি দাখিল করেন যা বর্তমানে বিচারাধীন আছে। অপরদিকে, রমিজ সকল নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য আদালতে স্থাগিতাদেশের আবেদন করলে চলতি বছরের ৬ই মার্স আদালত স্থাগিতাদেশ মঞ্জুর করেন। এদিকে, দুটি মামলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্তেও তা না মেনে নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় রমিজ পূনরায় আদালতের শরনাপন্ন হলে আদালত পূর্বেও স্থাগিতাদেশ বহাল রাখে এবং গত ২৭ তারিখে দশমিনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আদেশ কার্যকর করার জন্য নির্দেশ প্রদান করে।

মো. রমিজ বলেন, ‘১৯৯৭ সালে আমি প্রাপ্ত বয়স্ক এবং ব্যবসা করি। আমার বাবা সহজ সরল। আজিজ মিয়া আমাকে নাবালক বানিয়ে আমার বাবাকে বিভিন্ন প্ররচনা দেখিয়ে আদালতের অনুমতি ছাড়া তার কাছ থেকে জমি নেয়াটা বেআইনি এবং চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাদে ক্ষমতাকে আকরে ধরে আদলতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তিনি বাউন্ডারি ওয়াল ও বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ চালিয়ে চাচ্ছে। আমি প্রায় দীর্ঘ ৬ মাস পর্যন্ত বারবার থানায় অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি। আমি এর বিচার চাই।’
মো. আব্দুল আজিজ মিয়া বলেন, ‘আদালত থেকে আমকে কোন নোটিশ দেইনি। তাহলে আমি কেন কাজ বন্ধ করব। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন আছে, আদালত বিষয়টি দেখে
নিবে।
দশমিনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, আদালতের
আদেশ পাওয়ার পরে আমি তাদেরকে (চেয়ারম্যান) কাজ বন্ধ করার জন্য নোটিশ দিয়েছি।