ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৩ , আজকের সময় : সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

দশমিনায় রাতের আঁধারে ঘর লুট হিন্দু নারীকে নির্যাতন

দশমিনায় রাতের আঁধারে ঘর লুট হিন্দু নারীকে নির্যাতন

মোঃবেল্লাল হোসেন
দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় সোমবার রাত ৯ টায় বেতাগীসানকিপুর ইউনিয়নের ০২নং ওয়ার্ড ঠাকুরের হাট এলাকায় ঘর লুট ও এক হিন্দু নারীকে শারীরিক নির্যাতন করার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জান যায়, উপজেলার ঠাকুরের হাট এলাকায় বসবাস করে জয় ও পিংকা দম্পত্তি। জয় জীবিকার টানে গাড়ী চালায়। পিংকা নিজ বাসায় কন্যা সন্তান নিয়ে থাকে। সোমবার রাত ৯ টায়র সময় কয়েকজ লোক কালো সুখোষ পরে ঘরের দড়জা ভেঙ্গে প্রবেশ করে পিংকাকে হাত-পা বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করে। তারপর টানতে টানতে ঘরের উত্তর পাশের পুকুরে নিয়ে মারা জন্য চুবায়। পুকুরের পাড়ে আধমরা রেখে চলে যায়। ঘরের পাশ দিয়ে বোরাক গাড়ীতে লোক জন পূজামন্ডপে যাবার পথে বাঁচও বাঁচও শব্দ পেলে এলাকার লোকদের জানালে তার আতœীয়রা এসে পিংকাকে ভেজা কাপড়ে ঘরে নিয়ে আসে এবং পিংকা বারবার ভমি করলে ও কাপতে থাকে পরে পিংকার স্বামী সহ আতœীয়রা দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করে।
এলাকার প্রতিবেশি পশারি রানী বলেন, ঘটনার বিষয় কিছু জানিনা লোক মুখে শুনে এসে দেখি পিংকার হাত বাঁধা, পুকুর পাড়ে ভিজে কাপড়ে অচেতন অবস্থায় পরে আছে। উঠে বসতে পারেনা বারবার ভমি করছে। লোকজন কোলে তুলে ঘরে এনে ভেজা কাপড় পরিবর্তন করে দশমিনা হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘরের মধ্যে মালামাল বিচ্ছিন্ন ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ৬-৭ জন লোক এসে ঘরের দড়জা ভেঙ্গে প্রবেশ করে পিংকাকে শারীরিক নির্যাতন করে এবং পুকুরে নিয়ে চুবায়। তিনি আরো বলেন কয়েক মাস আগে এভাবে একটি হিন্দু পরিবারের ঘরে প্রবেশ করে ভাংচুর ও লুট করে তার কিছুই হয়নি। আবার পূনরায় এই ঘটনা আমার নিরাপদ নই । দশমিনা প্রশাসনের কাছে বলতে চাই বেতাগীসানকিপুর ইউনিয়নের হিন্দুরা নিরাপদ নই । আগের ঘটনার কিছুই হয়নি তাই আজ এই ঘটনা ঘটানোর সাহস পাচ্ছে। আমার এই ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাই।
পিংকার স্বামী জয় বাউলি বলেন, আমি খবর পেয়ে এসে শুনছি ৬-৭ জন লোক আমার ঘরে প্রবেশ করে আমার সন্তানকে ঘরের মধ্যে ছুরে মারে এবং আমার স্ত্রীর হাত বেঁধে মারধর করে এবং পুকুরে নিয়ে চুবায় সেখান থেকে লোকজন উদ্ধার করে। আমার স্ত্রী সুস্থ না হলে এ বিষয়ে আমি কি করে বলবো। আমার স্ত্রী ঘরে সন্তান নিয়ে একা ছিলো। আমার স্ত্রী সুস্থ হউক তারপর বুজবো কি হয়েছে। ঘর চুরির বিষয় বলেন বলেন আমার ঘরে নগদ টাকা বা স্বর্নালংকার ছিলোনা । তবে ঘরের মধ্যে ডুকে দেখলাম সকল মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
নির্যাতনে স্বীকার পিংকা বাকরুদ্ধ কন্ঠে বলেন, রাত আনুমানিক ৮ টা কি ৯টা হবে হঠাতৎ করে আমার ঘরের দড়জা ভেঙ্গে ৬-৭ জন অপরিচিত লোক প্রবেশ করে যায় আমি কিছু বলার আগে আমার কন্যা সন্তানটিকে টেনে নিয়ে ছুরে ফেলে আমার মুখে একটুকরো কাপড় ডুকিয়ে বেধম মারে তার পর হাত বেঁধে পুকুরের ঘাটে নিয়ে মেরে ফেলার জন্য চুবায়। আমি অজ্ঞান হয়ে পরি ঞ্জান ফিরে দেখি আমি হাসপাতালে। কাউকে চিনতে পারছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন সকলের মুখে কালো মাক্স পরা একজনের চোখের উপরে কাটার চিহ্ন আছে।
দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ গোলাম সরোয়ার ও ডাঃ রাহুল বিন হালিম বলেন, মহিলা সিনিয়র নার্স কতৃক পিংকাকে চেক করানো হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে মোটা মোটা পিটানোর চিহ্ন পাওয়া যায়। তার শরীরে আর কোন বিষয় লক্ষন পরিলক্ষিত হয়নি। এখোন সুস্থ আছে।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার বিষয়ে শুনে থানা পুলিশের লোক ঘটনা স্থলে পাঠানো হয়েছে । হাসপাতালে ডাক্তরদের সাথে কথা হয়েছে । পিংকাকে দশমিনা থানার এএসআই ইয়াসমিন ঘটনার বিষয়ে জিঞ্জসাবাদ করছে। পিংকার নিরাপত্তার জন্য মহিলা পুলিশ ফোর্স রাখা হয়েছে। সঠিক তথ্যের আলোকে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। হিন্দু পরিবারের উপর বারবার হামলা ও নির্যাতনের বিষয় জনতে চাইলে বলেন আইন তার নিজেস্ব গতিতে চলছে অপরাধীরা অপরাধ করে পার পাবার সুযোগ নাই।