খোকসার আমবাড়ীয়া দাখিল মাদ্রাসায় জালিয়াতি করে সহকারী মৌলভী নিয়োগ, আদালতে মামলা
ফরিদ আহমেদঃ কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার আমবাড়ীয়া দাখিল মাদ্রাসায় জালিয়াতি করে সহকারী মৌলভী নিয়োগের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বাদী হয়ে মোকাম খোকসা সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ ইং সাল থেকে ২০০২ ইং সাল পর্যন্ত আমবাড়ীয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন মোঃ মনিরুজ্জামান খান। তার ভাষ্য মতে, ২০০১ সাল পর্যন্ত উক্ত মাদ্রাসায় কোন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তারপরও ০৬/০৫/২০০১ ইং তারিখে মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী পদে নিয়োগ পত্র দেখিয়ে ২২ বছর ধরে চাকুরি করে চলেছেন আবুল খায়ের মোঃ সাইদুর রহমান। এখন সেই জালিয়াতি ভাবে নিয়োগ পাওয়া সহকারী মৌলভী মাদ্রাসার সুপার পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন।
মামলার বরাত দিয়ে জানা যায়, স্মারক নং- আঃ দাঃ মাঃ/২০০১/৩৭ তারিখঃ ০৬-০৫-২০০১ ইং সহকারী মৌলভী পদে নিয়োগ পত্র ভুয়া, তঞ্চকী, পুন্ড, যোগসাজসী, নিয়োগ পত্র হইতেছে। উক্ত নিয়োগপত্র কর্মচারী হয় নাই বা তৎমূলে বিবাদীর কোন অধিকার সৃষ্টি হয় নাই। (বাদীগন বহুবার বিবাদীকে তার পদ থেকে সরে যেতে বলিলে বিবাদী তাহাতে কোন কর্নপাত করেন না।) বাদীগন বর্তমানে উক্ত মাদ্রসার কোন কমিটিতে নাই। বিধায় বাদীগন মাদ্রসায় যায়ও না। গত ১/০৬/ ২০২৩ ইং তারিখে সহকারী মৌলভী আবুল খালের মোঃ সাইদুর রহমান জাল জালিয়াতি করিয়া চাকুরী পেয়েছেন ও তা বাদীগন দিয়েছে মর্মে এলাকায় প্রচার হলে বাদীগন গত ৩১/০৮/২০২৩ ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার সময় সহকারী মৌলভী পদে কিভাবে বিবাদী চাকুরী পেলেন তা জিজ্ঞাসা করিলে বিবাদী তা স্বারক নং আঃ দাঃ মাঃ/ ২০০১/৩৭ তারিখ ০৬/০৫/২০০১ ইং তারিখের নিয়োগপত্র দেখান যা বাদীগনের উপর বাধ্যকর নয়। বাদীগন সর্ব শেষ ০১/০৬/২০২৩ ইং তারিখ বিষয়টি জানিতে পারে। উক্ত তারিখে মামলার কারণ উদ্ভব হয়। যা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন। অত্র মামলাটি ঘোষনা মূলক মোকদ্দমা বিষয়ে মোকদ্দমার তায়দাদ ১ লক্ষ টাকা ধরা হল তদঅনুসারে কোর্ট ফিস সহ আরজী দাখিল করা হইয়াছে এবং এই মামলার শুনানী ও বিচারে করিতে অত্র আদালত এখতিয়ার আছে।
বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান খান বলেন, সহকারী মৌলভী পদে নিয়োগ যে তারিখে দেওয়া হয়েছে সেসময় তিনি সভাপতি ছিলেন। তিনি কোন নিয়োগ দেননি। জালিয়াতি করে এই নিয়োগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য বাধ্য হয়ে তিনি আদালতে মামলা করেছেন।
Print [1]