রেজা মাহমুদ, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। এরই মধ্যে বিমানবন্দরের রানওয়ের উন্নয়নে ১১৮ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ২১০ মিলিমিটার পুরুত্বে অ্যাসফল্ট কংক্রিট ওভার-লেককরণ করা হবে।
বিমানবন্দরগুলোর এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং (এজিএল) সিস্টেমের আপগ্রেডেশন, রানওয়ে সাইড-স্ট্রিপসহ ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে পর্যাপ্ত ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটি করে আধুনিক অগ্নিনির্বাপক গাড়ি কেনা হবে। প্রকল্পটি ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। মুঠোফোনে জানতে চাইলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মস্ত্রনালয়ের উপ- সচিব (পরিকল্পনা) লুবনা ইয়াসমিন।
বিমান বন্দর অফিস সুত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর বিমানবন্দরে গড়ে দৈনিক ১৫টি প্লেন চলাচল করে। বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য ছয় হাজার ৮০০ ফুট ও প্রস্থ ১২০ ফুট। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরের জমির পরিমাণ রয়েছে ১৩৬ একর। তবে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উন্নীতকরণে অধিগ্রহনের মাধ্যমে আরও যুক্ত হচ্ছে ৯১২ দশমিক ৯০ একর জমি। এসব জমির মধ্যে সৈয়দপুর উপজেলার বাঙালিপুর ইউনিয়ন ও দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বেলাইচন্ডী ইউনিয়ন রয়েছে। এর মধ্যে সৈয়দপুরের ৫৯৫ দশমিক ১৩ একর জমি যার মধ্যে সরকারি তিনটি সংস্থার ৬০ একর জমি রয়েছে।
অপরদিকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে রয়েছে ৩১৭ দশমিক ৭৭ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি। সব মিলে এক হাজার ৪৮ দশমিক ৯০ একর জমির ওপর গড়ে উঠবে এ বিমানবন্দরটি। এতে থাকবে ১২ হাজার ফুট রানওয়ে, নতুন বিমানবন্দর টার্মিনালসহ যাবতীয় অবকাঠামো। এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে অধিগ্রহণ চিহ্নিত এলাকায় ফিল্ড বুক তৈরির কাজ। শিগগিরই জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এ জন্য প্রাথমিকভাবে ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ অর্থ সংগ্রহ হয়েছে ভারতীয় ঋণ ও দেশীয় তহবিল থেকে। সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের দশম জাতীয় সংসদে সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে উন্নীত করার ঘোষণা দেন। এ ঘোষাণার পরেই শুরু হয়ে আন্তর্জাতিক করণের কার্যক্রম। যা চলমান রয়েছে। উপ-সচিব লুবনা ইয়াসমিন মুঠোফোনে বলেন, সৈয়দপুর বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক হলে ভারত, ভুটান, নেপাল, চীনের মধ্যে পণ্য আনা নেওয়া পর্যটন ও বাণিজ্য বিকাশে বিমানবন্দরটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।