ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৩ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

বাঘা উপজেলার কাঠ মিস্ত্রি রতন কিডনি রোগে আক্রান্ত বাঁচতে চাই!

বাঘা উপজেলার কাঠ মিস্ত্রি রতন কিডনি রোগে আক্রান্ত বাঁচতে চাই!

বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ দেখতে দেখতে কেটে গেছে তার জীবনের ৩৩টি বছর। ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি কখন যে, মরণ অসুখ বাসা বেঁধেছে তার কিডনিতে। যখন পারলো তখন তার দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে।
রাজশাহীর বাঘার রতন আজ জীবনের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। তার দুচোখে মুঠো মুঠো স্বপ্নের বদলে শুধুই মৃত্যুর বিভীষিকা।চোখ বুঝে অবসন্ন শরীর নিয়ে জীবনকে মহাকালের কাছে সোপর্দ করার দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছেন রতন।তার মধ্যে এখন শুধুই বেঁচে থাকার তীব্র আকুতি।
বাবা কিংবা স্বজনদের সামর্থ্য নেই এত অর্থ ব্যয় করে তাকে বাঁচিয়ে রাখার। কারন রতন রাজমিস্ত্রীর কাজ করে যা উপার্জন করে তা দিয়েই চলে এই সংসার।তারপরও তার পরিবারের চেষ্টার কমতি নেই।বাঘা পৌর এলাকার চক নারায়নপুরের দিনমজুর জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে রতন।
মা ও স্ত্রী দিতে চান কিডনি।তবে তারা পারছেন না আর্থিক সামর্থ্যের অভাবে। নিরূপায় হয়ে রতনকে বাঁচাতে সমাজের সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তার বাবা।
রতনের বাবা প্রতিবেদককে বলেন,গত ২০ আগষ্ট হঠাৎ অসুস্থ হয়ে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হলে সেখানকার ডাক্তাররা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেন তার কিডনির সমস্যা হয়েছে।কয়েকটি এনজিও থেকে ঋণ ও ধার দেনা করে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এ দেখায়। সেখানে কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেন তার দুইটা কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। তারা জানায় অপারেশন করে কিডনি পরিবর্তন করতে হবে যা খুবই ব্যয়বহুল।অপারেশনও ঔষধ বাবদ খরচ হবে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা।
রতন বলেন, আমার সহায় সম্বল বলতে তেমন কিছুই নেই। আমি রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাই। আমার দুইটি কিডনিই নষ্ট হয়ে এখন আমি মৃত্যুশয্যায়।আমার একটি মাত্র ছেলে, বয়স ৬ বছর।এই মুহূর্তে আমার পক্ষে  চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়।ঠিক মতো খাবার কিনতে পারি না সেখানে চিকিৎসার টাকা জোগাড় করবো কীভাবে বলে কেঁদে ফেলেন রতন।সমাজের বিত্তবান,দানশীল ব্যক্তি ও প্রবাসীদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি।
রতনকে সাহায্য পাঠাতে:  ০১৭০৫৮৯২০০৭(বিকাশ),০১৭৪৪৯৮১৩৯০(নগদ) নাম্বারে।