ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০ , আজকের সময় : শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সেবা পৌঁছে দিতে জনগণের সম্মুখে দৌলতপুর পুলিশ

দৌলতপুর প্রতিনিধি: গেল ১৭ অক্টোবর সারাদেশে পুলিশের ধর্ষণ বিরোধী সমাবেশের অংশ হিসেবে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর পুলিশ ৩২টি স্পটে কর্মসূচীর আয়োজন করে। সমাবেশের বিভিন্ন ভেন্যুতে অংশ নেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) এস এম আল বেরুনী, দৌলতপুর থানার ওসি জহুরুল আলম, ওসি (তদন্ত) শাহাদত হোসেন। সংশ্লিষ্ট ইউইনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, বিট পুলিশ কর্মকর্তা ও স্থানীয় নারী-পুরুষ এতে অংশ নেন।

এসব অনুষ্ঠানে দৌলতপুর পুলিশের পক্ষ থেকে গুরুত্বারোপ করা হয় পুলিশের কাছে জনগণের সরাসরি সেবা গ্রহন প্রসঙ্গে। ওসি জহুরুল আলম উপস্থিতদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেন বিট ইনচার্জ কর্মকর্তাদের, তুলে ধরেন দৌলতপুর পুলিশের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের মোবাইল ফোন নম্বরগুলো।

নারী-শিশু ধর্ষণ-নির্যাত, এসব ঘটনা আপোষ যোগ্য নয় জানিয়ে ওসি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী ও শিশুদের অধিকার ও নিরাপত্তায় বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন,আমরাও দিচ্ছি। এসব বিষয়ে সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি পুলিশের কাছে আসা অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্তের বিষয়টিও আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যদি কোন মিথ্যা মামলা করেন কিংবা মামলা করতে প্ররোচনা দেন সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধেও আইনী ব্যবস্থার বিধান আছে বলে জানান ওসি।

বুধবার প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গত ৪১ দিনে এই উপজেলায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে ৪টি,আর যৌন নিপীড়নের মামলা হয়েছে ৪টি। ১০ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের মামলা হয় সাদিপুর গ্রামের ছোটনের নামে। আটক হয়ে এখন কারাগারে তিনি। ৩০ সেপ্টেম্বরের ধর্ষণ মামলায় পলাতক রয়েছেন জয়রামপুর এলাকার সুমন রেজা। তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ।

একই প্রলোভনে ১২ অক্টোবর আমদহ এলাকার লিমন হোসেনের নামে ধর্ষণ মামলা হয়। কারাগারে আছে লিমনও। জোরপূর্বক ধর্ষণ মামলায় করাগারে ধর্মদহের রুস্তম আলী। মামলাটি হয় ১৩ অক্টোবর। এছাড়া যৌন নিপীড়নের মামলা হয়েছে গেল ৪১ দিনে চারটি। এই সময়ে দৌলতপুর থানায় মোট মামলা হয়েছে ১০৮টি।

সবশেষ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনা ভাইরাল হলে আলোচনায় আসে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ইস্যু। পরপর কয়েকটি আলোচিত ঘটনা ঘটে গেলে সারাদেশে তীব্র প্রতিবাদের সৃষ্টি হয়।
এদিকে, চলতি মাসে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে সরকার।