ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩ , আজকের সময় : সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

ঘূর্ণীঝড় মিধিলির প্রভাবে দশমিনায় রোপা আমন ও সবজির ব্যাপক ক্ষতি

ঘূর্ণীঝড় মিধিলির প্রভাবে দশমিনায় রোপা আমন ও সবজির ব্যাপক ক্ষতি

মো. বেল্লাল হোসেন, দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ঘূর্ণীঝড় মিধিলিন প্রভাবে পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় কৃষি ফসলি জমিরি ব্যাপক ক্ষতি হয়।
সরজমিনে দেখা যায়, ঘূর্ণীঝড় মিধিলির প্রভাবে দমকা হাওয়া ও অতি বৃষ্টির কারনে উপজেলার কৃষকের রোপা আমন সহ বিভিন্ন প্রজাতির ধান ও রবি শষ্যের ক্ষেত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড়ের বাতাসে ধানক্ষেতর গোছা নুয়ে মাটির সাথে মিশে আছে এবং রবিশষ্যের ক্ষেতে এক থেকে দেড়ফুট পানি জমে আছে। এতে করে কৃষকের আমন ধান ও রবিশষ্য ঘরে তোলা হলোনা । কৃষক গন আর্থিক ভাবে ক্ষতি হবার সম্ভবনা বিদ্যমান।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় (প্রান্তিক, ক্ষৃদ্র, মাঝারী,বড়) ৬হাজার ২শত ৬১জন জন কৃষক ১৮হাজার ১শত ৬২ হেক্টর জমিতে রোপা আমন রোপ করলে মিধিলির প্রভাবে ১হাজার ৯শত ৯৮ হেক্টর জমির রোপা আমন ক্ষতির সমূক্ষিন হয়, বিভিন্ন প্রজাতির শাকসবজি চাষ করেন ৬শত ৬০জন কৃষক ১শত ৩৫হেক্টর জমিতে ক্ষতির পরিমান ৬১হেক্টর জমি, তরমুজ চাষ করেন ১২ জন কৃষক ০৩ হেক্টর জমিতে ক্ষতির পরিমান দেড় হেক্টোর জমি, মরিচ চাষ করেন ৩০ জন কৃষক ২ হেক্টর জমিতে ক্ষতির পরিমান ১ হেক্টর জমি, খেসারী ৬শত ২৬ জন কৃষক ২শত ৩৪ হেক্টর জমিতে চাষ করেন ক্ষতির পরিমান ২শত ১০হেক্টর, সরিষা ১১জন কৃষক ২ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করেন ক্ষতির পরিমান ১ হেক্টর।
স্থানীয় কৃষক আবদুর রহমান বলেন, আমি উপজেলা কৃষি অফিসের সহয়তায় ১১ একর জমিতে রোপা আমন ও চিনিগুড়া, বাসমতি ধান চাষ করি ফলন ভালো হয়েছে কিন্তু ঘূর্ণীঝড় মিধিলির প্রভাবে আমার ক্ষেতের সকল ধান মাটির সাথে মিশে আছে জমিতে এক থেকে দেড় ফুট পানি ঝমে আছে । জমির ধান আর ঘরে তোলা হলোনা । কৃষি জমির মাধ্যমে প্রতিবছর আমি আমার পরিবারের খোরাক রেখে বাজারে বিক্রিকরি এ বছর ঘূর্ণীঝড় মিধিলি সব শেষ করে দিয়েছে। আমি উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে সরকারের কাছে সহযোগিতা চাই।
বহরমপুর ইউনিয়নের মরিরুল চষি বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় ১০ একর জমিতে খেসারী ডাল চাষ করি কিন্তু ঘূর্ণীঝড় মিধিলি আমার সকল ফসল নষ্ট করে দিয়েছে। আমার সকল সকল স্বপ্ন শেষ। আমি সরকারের কাছে সহযোগিতা চাই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাফর আহমেদ বলেন, উপজেলায় প্রান্তিক, ক্ষৃদ্র, মাঝারী,বড় কৃষকের মাঝে বিনা মূল্যে বীজ ও সার প্রণোধনা দেয়া হয়। কৃষকের মাঝে ( রোপা আমন, শাকসবজি, তরমুজ, খেসারী, সরিষা) আবাধ বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু ঘূর্ণীঝড় মিধিলির প্রভাবে কৃষকের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। তবে সরিষা ও মরিচ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকের সম্ভাব্য ক্ষতির পরিমান নিরুপর করে জেলা পাঠানো হয়েছে।