বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিয়ে আমিরের উপলব্ধি
আমির ,দৌলতপুরঃ আমি বরাবরই বলে থাকি এই জীবন হলো এক উৎকর্ষ। কখন কী যে হয়ে যাবে আগে থেকে বলা ভীষণ কঠিন। এই জীবন এক জুয়া খেলা। আমরা শুধুমাত্র এই খেলার অংশগ্রাহক। এই খেলার নিয়ন্ত্রক হলেন একজন পরমেশ্বর; যিঁনি নিঁপুনভাবে এই খেলাটি নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছেন।
দেখুন, আমি যদি ভাগ্য আর নিয়তি এই দুটো আভিধানিক শব্দের ভাবার্থ খুঁজি তাহলে, ভাগ্য যেটা পরিশ্রম করার মধ্যমে পরিবর্তন করা যায়; অপরদিকে, নিয়তি যেটা সবার জন্যেই নির্ধারিত। ফলত, ভাগ্যকে দোষারোপ না দেয়াই শ্রেয়; অপরপক্ষে, নিয়তিকেও মেনে নিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে, পরিশ্রম করে জীবনের ঋদ্ধিকে পরিবর্তন করা গেলেও এই জীবন নর্মে হেরে যেতে হয়। আর এই হেরে যাবার কারণ হলো অতিরিক্ত দম্ভ, লোভ, হিংসা, অহংকার ও আত্নগৌরব।
আজ, ভারত বনাম অষ্ট্রেলিয়ার ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলাটি পুরোপুরি দেখার পর একটি বিশেষ উপলব্ধি হলো। এই অষ্ট্রেলিয়া দলটি কিন্তু নিসন্দেহে ভারত দলটির কাছে তেমন শক্ত দল নয়। দলটিকে পূর্বের খেলাগুলোতে বেশ কয়েকবার হারতে হয়েছে। বলা যায় ভাগ্যের জেরেই ফাইনালে পৌঁছেছে দলটি। কিন্তু, ভারত এই বিশ্বকাপ আসরের টুর্নামেন্টে একটিও ম্যাচ হারেনি। আমি দ্বিধাহীনভাবে এও মানি এবং সেইসাথে বিশ্বাস করি যে ভারত অন্তত অষ্ট্রেলিয়ার চেয়ে ভালো একটা দল। তবে, বিশ্বকাপটি কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ারই দখলে ! হ্যাঁ, বাস্তব আর সত্য এটিই।
তাই ভাবছি যে, ভারতকে একটি ম্যাচও না হেরে চুড়ান্তেই কেন হারতে হলো আর কেনই বা সেদিন ম্যাক্সোয়েল একাই দু’শো রান করেছিল আবার, আজ কেনই বা ট্রাভিস হেড খেলার মোড়টাই ঘুরিয়ে দিল; এসবের কোনোই উত্তর আমার জানা নেই। আসলে, জীবন হলো সাঁপলুডু খেলার মতনই; মাঝেমাঝে জীবন জিতে গিয়েও হেরে যাওয়ার খেলা। আবার, কখনও কখনও হেরে গিয়েও জিতে যাবার খেলা। এখানে শুধু ভাগ্যের জেরেই হয় না, নিয়তিতেও থাকতে হয়। ওইযে বললাম না, জীবন এক উৎকর্ষের নাম