ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ , আজকের সময় : সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বরাদ্দের কাজে বাঁধা -শত বছরের পুরান রাস্তার মাঝে সীমানা পিলার ও বেড়া

এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বরাদ্দের কাজে বাঁধা -শত বছরের পুরান রাস্তার মাঝে সীমানা পিলার ও বেড়া

মো. বেল্লাল হোসেন, দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের রাস্তার উন্নয়নমূলক বরাদ্দের কাছে বাঁধা ও রাস্তার মাঝে সীমানা পিলার দিয়ে আংশিক বেড়া দেয়ার ঘটনা ঘটে।
সরজমিনে দেখা যায় উপজেলার উত্তর লক্ষীপুর গ্রামের দশমিনা- পটুয়াখালীর সড়কের কারিগরী প্রশিক্ষক কেন্দ্রের উত্তর পাশ দিয়ে ৮-৯ কিলোমিটার নয়াভাঙ্গলী পর্যন্ত রাস্তা। এই রাস্তাদিয়ে সাধারন লোকজন ও যানচলাচলে সমস্যা হওয়ায় এলাকার লোক জন একাধিক বার মানববন্ধন করেন। ১হাজার ফুট রাস্তা সংস্কারের জন্য ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিবিসির মাধ্যমে বরাদ্দ দেন। সিবিসির সভপতি মোঃ সেলিম মৃধা কাজ কারার শেষ পর্যায়ে আসলেও স্থানীয় ২-৩ জন লোক নিজেদের রেকর্ডিও সম্পত্তি দাবি করে কাজের বাঁধা প্রদান করেন এবং রাস্তার মাঝে সীমানা পিলার ও বেড়া দিয়ে রাখেন। প্রায় ৭-৮ দিন কাজ বন্ধ থাকায় স্থানীয় লোকদের চলাচল ও যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় এবং তাদের মাঝে ক্ষোভের সৃস্টি হয়।। স্থানীয় বাসিন্দা আবুল প্যাদা ও মকবুল খাঁ রাস্তার পাশে খাস জমি দখর করে বসত ঘর ও দোকান নির্মান করে দখলে আছে।

সিবিসির সভাপতি মোঃ সেলিম মৃধা বলেন, এই রাস্তাটি প্রায় ১শত বছরের পুরানো । এলাকার লোকজন রাস্তাটি সংস্কারের জন্য এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে বললে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ দেন। আমি কাজ শুরু করি শেষ পর্যন্ত ২০০-২৫০ ফুট রাস্তা করতে গেলে স্থানীয় লোকজন বাঁধাদিলে আমি কাজ বন্ধ রাখি।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল প্যাদা বলেন, এ রাস্তাটি ১শত বছরের পুরানো, এ রাস্তার দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন সহ সাদার যানবাহন চলাচল করে। রাস্তাটি সংস্কারের শেষ পর্যায়ে নিজেদের রেকর্ডিও মালিক দাবি করে খালেক মৃধা গং রাস্তার মাঝে সীমানা পিলার ও বেড়া দিয়ে কাজ বন্ধ করে।
খালেক মৃধার ছেলে মোঃ নজরুল বলেন এ রাস্তায় আমাদের জমি আছে স্থানীয় সার্ভেয়ার দিয়ে মাপদিয়ে দেখেছি তাই সীমান পিলার ও বেড়া দিছি। রাস্তার সংস্কারের কাজে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। মোঃ আবুল প্যাদা ও মকবুল খাঁ খাস জমি দখল করে বসত ঘর ও দেকান করে বসে আছে। রাস্তায় মাটি লাগলে আমাদের জমি দেখিয়ে দেয় তাই বাঁধা দিছি। এখানে খাস জমি আছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আমাদের দাবি খাস জমি অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে বের করা হলে সমস্যার সমাধা হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিন্ট চন্দ্র মজুমদার বলেন, কাজ দেখতে বুধবার সকালে গিয়া ছিলাম। রাস্তার মাঝে বেড়া ও সীমানা পিলার দেখে আসছি। সিবিসি সভাপতিকে নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত দরখাস্ত দিতে বলেছি। আশাকরি সমস্যার সমাধা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে আসলে দেখবো।