বোয়ালমারীতে ৪ দিনে তিন আত্মহত্যা স্বামীর পলায়ন
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের কুমরাইল গ্রামে বৃহস্পতিবার (৩০) সকালে পরিবারের সাথে অভিমান করে নাইমা খানম (১৭) গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে ডহরনহর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নাইমা খানম কুমরাইল গ্রামের আবু বক্কারের মেয়ে। থানা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে নাইমা খানমের পিতা আবু বক্কার ফজরের নামাজ পড়ে এসে মেয়েকে দেখে মোবাইলে ছবি দেখছে তাকে নামাজ পড়ার জন্য রাগারাগি করায় মনের ক্ষোভে গলায় ফাঁস নেয়। পরে আবু বক্কর ধান সিদ্ধুর কথা বলতে বলতে ঘরে ঢুকেই দেখতে পায় সে ঘরের কাঠের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। লাশ উদ্ধারকারী কর্মকর্তা এসআই আসলাম বলেন, খবর পেয়ে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই জিডি মূলে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। অপরদিকে বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের মহিশালা পশ্চিম পাড়া গ্রামের সঞ্জয় বিশ্বাসের স্ত্রী শিউলী বিশ্বাস (৩৫) গত ২৮ নভেম্বর স্বামীর সাথে এক সাথে ঘুমিয়ে পড়ে বলে জানা গেছে। সকালে তার স্বামী ঘুম থেকে উঠে দেখে নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে তার ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় শিউলী বিশ্বাস ঝুলছে। শিউলী বিশ্বাসকে ঝুলতে দেখে তার স্বামী বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠান। শিউলী বিশ্বাসের স্বামী সঞ্জয় বিশ্বাস কাদিরদী বাজারের একজন দন্ড চিকিৎসক। এদিকে উপজেলার চতুল ইউনিয়নের পোয়াইল গ্রামে গত ২৬ নভেম্বর রাতে পুলক রায় (২০) নামের এক ব্যক্তি ঘরের আড়ার সাথে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ২৭ নভেম্বর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। পুলক রায় পোয়াইল গ্রামের পলাশ রায়ের ছেলে। থানা অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, আত্মহত্যার ঘটনায় লাশ গুলো উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে লাশ তাদের পরিবারের নিকট বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে। নাইমা খানমের লাশ বৃহস্পতিবার রাতেই ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হবে। তিনি আরো বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারন জানা যাবে।