ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২০ , আজকের সময় : বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

দশমিনায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে আতঙ্কিত আইনজীবীরা

মো.বেল্লাল হোসেন, দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কার্যক্রম দীর্ঘদিন পর্যন্ত জরাজীর্ণ ভবনে বিচার কার্য পরিচালিত হয়ে আসছে। দশমিনা উপজেলা আদালত ভবনটি ৭ই নভেম্বর ১৯৮৫ সনে তৎকালীন জেলা প্রশাসক পটুাখালী, ওয়ালিউল্লাহ সিদ্দিকী উদ্ধোধন করেন। পরতর্তীতে দশমিনা আদালতের কর্যক্রম পটুয়াখালী জেলায় পরিচালিত হয়।

তৎ কারনে দশমিনা উপজেলা আদালত ভবনটির কর্যক্রম বন্দ থাকে ভবনটি পরিত্যাক্ত অবস্হায় থাকে দীর্ঘদিন। দশমিনা উপজেলা আইনজীবীদের বিভিন্ন মহলে তদবির শুরু হয় দশমিনা উপজেলায় পূনরায় আদালত পরিচালোনার জন্য। কারন দশমিনা উপজেলা ৭টি ইউনিয়নের লোক জন পটুয়াখালী গিয়ে মামলা পরিচালনা করতে নানারকম সমস্যার সমূখিন হতে হয়।

দীর্ঘদিন বিভিন্ন মহলে ততবিরের পর ৪ আগষ্ট২০০০ইং সনে তৎকালীন আইন মন্ত্রী, আবদুল মতিন খসরু (এমপি) ও ১১৩, পটুয়াখালী ০৩ তৎকালীন বস্রপ্রতি মন্ত্রী আলহাজ্ব আ,খ,ম,জাহাঙ্গীর হোসেন (এমপি) দশমিনা উপজেলা ফৌদারী আদালত পুর্নবহালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সেই থেকে চলোমান ১৯৮৬ সনের ভবনে দশমিনা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারিক কার্যক্রম।

বর্তমানে আদালত ভবনের বিভিন্ন স্হানে ফাটল দেখাযায়,আাদলতের মূল কার্যক্রম পরিচালোনা কক্ষে বৃস্টি হলেই ছাদ গেমে পানি পড়ে তাহাতে আাইনজীবীদের মামলা পরিচালনা করতে বেগ পেতে হয়। মামলা পরিচালনা কক্ষে এজলাসে ছাদের কিছু অংশ ভেঙ্গেপড়তে দেখা যায়। আদালতের মূলফটকে ডুকতে দুইটি রাস্তা সামান্য বৃস্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।

দশমিনা উপজেলা আইনজীব সমিতির সভাপতি, আলহাজ্ব এ্যাড.সিকদার গোলাম মোস্তফা বলেন,আদালত ভবনটি অনেক পুরাতন, ভবনের বিভিন্ন স্হানে ফাটল দেখাযায়, বৃস্টি হলে মামলা পরিচালনার এজলাসে ছাদগেমে পানি পড়ে। আদালতের প্রবেশমুখে দুটি রাস্তা সামান্য বৃস্টি হলে ১-২ফুট পানি থাকে। আদালতে আইনজীবী এবং আদালতে বিচার প্রার্থীদের প্রবেশে চরম ভোগান্তি। বর্তমানে আদালত ভবনটি ঝুকিপূর্ন। আদালত ভবনটি নতুন ভাবে গড়া দরকার তা না হলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

দশমিনা উপজেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সধারন সম্পাদক, এ্যাড. ইকবাল হোসেন বলেন, দশমিনা উপজেলা আদালত ভবনটি ঝুকিপূর্ন অনেক পুরাতন ভবনে আদালতের কার্যক্রম পারিচালিত হচ্ছে। আদালত ভবনটি নতুন ভাবে তৈরি করা জরূরী। অনেক আগথেকেই আদালতের এজলাসে আইনজীবীদের বসার জন্য পর্যাপ্ত আসবাবপত্র নেই।

এ্যাড.উত্তম কর্মকার(এপিপি) বলেন, আদালত ভবনটি ঝুকিপূর্ন এজলাসে মামলা পরিচালনার সময় ছাদ থেকে প্লাস্টার আইনজীবীদের শরীরে পড়ে এবং আদালতে প্রবেশ করতে গেলে হাটু পর্যন্ত পানি পার হতে হয়। তিনি আরো বলেন দশমিনা আদালত ভবনটি নতুন ভাবে তৈরি করা একান্ত দরকার।