ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৪ , আজকের সময় : সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

চাকরি ও সনদ দেবার নামে প্রভাষকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ

চাকরি ও সনদ দেবার নামে প্রভাষকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ

মো. বেল্লাল হোসেন, দশমনিা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় এক মাদ্রসার বাংলা প্রভাষকের বিরুদ্ধে এন,টি,এর,সি সনদ ও চকুরি দেবার নাম করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের আদমপুরা ইসলামীয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার বাংলা প্রভাষক ও উপজেলার চরবোরহান ইউনিয়নের চরশাহজালাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ হানিফ এর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠেছে।
জানা যায়, বহরমপুর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার বাংলা প্রভাষক(ইনডেক্স নং- খঊঈই৪৭২৬৫২ ও চরশাহজালাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। প্রতিষ্ঠাতা থাকাকালীন এন,টি,আ,সি সনদ ও চাকুরি দেবার কথা বলে বিভিন্ন লোকদেরে কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এ বিষয়ে টাকা ফেরৎ পেতে তার বিরুদ্ধে আঃ মান্নান ও ফিরোজ আলম লিগ্যাল নেটিশ ও অভিযোগ দিয়ে কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা।
আঃ মান্নান বলেন, মোঃ হানিফ প্রভাষক বাংলা দক্ষিন আদমপুর ইসলামীয় দাখিল মাদ্রাসা, ইনডেক্স নং-খঊঈই৪৭২৬৫২ একজন প্রতারক। তিনি এলাকায় একজন প্রতারক ও দালাল নামে চিহ্নিত। এনটিএরসি সনদ, বেসরকারি বিদ্যালয়ে চাকুরির কথা বলে আমার কাছ থেকে ১ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা নিয়াছে । টাকা চাইতে গেলে মেরেফেলার হুমকি দেয়। টাকা ফেরৎ চাইতে পরাপর দুইবার লিগ্যাল নোটিশ দেই। এছাড়া এলাকার বিভিন্ন সহজ-সরল লোকদের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চাকরি দেবার কথা বলে।
মোঃ ফিরোজ আলম বলেন, আমাকে এন,টি,আর,সি সনদ ও চাকরি দেবে বলে আমার কাছ থেকে ২০১৪ সালে ২ লক্ষ ৪হাজার টাকা নেয়। দীর্ঘদিন হয়ে গেলোও এনটিআরসি বা চাকরি তো বাদই দিলাম টাকা চাইতে গেলে আমাকে হুমকি-দামকি দেয়। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
আদমপুরা ইসলামীয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার বাংলা প্রভাষক ও উপজেলার চরবোরহান ইউনিয়নের চরশাহজালাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ হানিফ এর কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার বিষয় আমি দেখবো।
চরশাহজালাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোসলেম হোসেন বলেন এ রকম বহু ঘটনা মোঃ হানিফের বিরুদ্ধে আছে। এক দুই জন নয় প্রায় ১৬-১৭ জনের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নেয়ার খবর আছে। আমার কিছুই করার নেই ।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ফিরোজ আলোমের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।