দুই জেলার চরাঞ্চলে গরু চোর সিন্ডিকেট সক্রিয়, গরু ও মহিষ মালিক অতংকে।
মো.বেল্লাল হোসেন, দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
ভোলা ও পটু্য়াখালী জেলায় বিশাল চরাঞ্চল বেষ্টিত। এজেলায় চরাঞ্চলের লোকদের প্রধান উৎপাদন কৃষি। মৌসুমি ও রবি শষ্য ফলিয়ে নিজেকে সাবলম্বি করা এদের প্রদান সম্ভল। তাদের জমির সিংহভাগ চাষাবাদ হয় গরু বা মহিষ দিয়ে। যাদের অর্থিক স্বচ্ছলতা আছে তারা ইঞ্জিনচালিত ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষ করে। সে কারনে লোকদের গরু ও মহিষ লালন পালন করা হয় রাখাল দিয়ে।
এ সুযোগে এলাকায় কিছু অসাধু ব্যক্তিরা তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য ঐগরু বা মহিষ চুরি করার একটি গোপন সিন্ডিকেট তৈরি করে । এ সিন্ডিকেট পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার চরহাদী, চরবোরহাম, চরশাহজালাল এবং ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার অধ্যক্ষ নজরুল নগরের চর যমুনায় লোকদের গরু চুরি করে। এ সিন্ডিকেট চরফ্যাশন এর আইচা থানায় গরু চর হাদী এবং চরহাদীর লোক চরফ্যাশন গরু চুরির রুট ব্যবহার করে।
এ ঘটনায় গত ৪জানুয়ারি ভোলাজেলা মডেল থানায় ফিরোজ আলম বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে আরো অঞ্জাত নামা ১৫-২০ জনের নামে এজাহার দায়ের করে এবং মোঃ আলীম বাদী হয়ে দক্ষিন চর আইচা থানায় ৫ জনকে আসামী করে ১৪-১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গত ১১ জানুয়ারি সকাল – সন্ধ্যা ভোলাজেলা মডেল থানা, দক্ষিন আইচা থানা ও দশমিনা থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ২০ টি গরু দশমিনা উপজেলার চরহাদী এলাকার মামলার আসামী ফোরকান, আনছার ও শহীনের বাড়ির বাগান থেকে উদ্ধার কার হয়। এ অভিযানে কোন আসামি আটক করা হয়নি।
অভিযোগকারি মোঃআলিম জানান আমার চর যমুনায় ৪৫ টি গরু রাখালের মাধ্যমে বাগানে লালল পালন করি। ৫ জানুয়ারি ৫ টি গরু না পেয়ে ভোলা মডেল থানায় মোঃ আনছার কে প্রধান আসামি করে আরো অঞ্জাত নামা ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে মামলাকরি। আজ বৃহস্পতিবার ভোলো, চর আইচা , দশমিনা থানা পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আনছারের বাড়ির বাগান থেকে ১০ টি গরু উদ্ধার করেন মোট ১৫ টি গরু চর আইচা থানায় আছে। আনছার এর আগে চর হাদী থেকে একাধিক বার গরু চুরির ঘটনা ঘটায়। তিনি দশমিনা উপজেলা আওয়ামীলের সহ-সভাপতির ভাই তার ভয় দেখায় সকলকে। তার ভাইয়ের প্রভাবে জমি দখল সহ নানা কাজে জড়িত।
ভোলাজেলার সদর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন মিয়া জানান, চরাঞ্চলে গরু ও মহিষ চোরের একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘ দিন কাজ করছে। এজাহারেরে আলোকে ভোলাজেলা থেকে ৬৬ টি গরুর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সন্ধ্যা অধ্যক্ষ নজরুল নগরের এবং দক্ষিন আইচা ও চর যমুনা থেকে ১০ টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়। এ অভিযান অব্যহত থাকবে।
দক্ষিন চর আইচা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদ আহম্মেদ জানান, চরাঞ্চলে গরু চুরিরবউৎপান অনেক বেশি। এখাানে পাশাপাশি দশমিনা উপজেলার চরহাদী চর থাকায় চোর আটক করতে পারছিনা আজ অভিযান পরিচালনা করে চর যমুনা, দক্ষীন আইচা থেকে ১০ টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়।
দশমিনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, ভোলা সদর থানা ও দক্ষিন আইচা থানা সহযোগিতা চাইলেন উপ-পুলিশ পরিদর্শনক(এসআই) আসদুজ্জামান জুয়েল সহ সঙ্গীয় ফোর্স পাঠাই দশমিনার চরহাদী নিবাসি আনসার এর ঘরের বাগান থেকে ৫ টি গরু উদ্ধার করা হয়। এরা একটি সিন্ডিকেট পরিচালনা করছে। শিঘ্রই এদের গ্রেফতার করা হবে।