হলুদ রং এর ফুলকপি চাষ করে লাভবান পাবনার আসলাম আলী
রাজশাহী ব্যুরো: আমাদের দেশে সাদা ও সবুজ (ব্রো কলি) রং এর ফুলকপি দেখা গেলেও এবার পাবনার আরিফপুর হাজিরহাট বাজারে নতুন জাতের হলুদ রং এর ফুলকপি দেখা মিললো।
সবজি ভ্যানের চারিদিকে ভিড় জমিয়েছে উৎসুক জনতা। সবার চোখ প্রথম, হলুদ রং এর ফুলকপি। সবার আগ্রহ নতুন জাতের হলুদ রং এর ফুলকপি সম্পর্কে জানার। তাদের মত আমিও জানতে চাইলাম কপি সম্পর্কে। প্রথমেই বিক্রেতার সম্পর্কে জানলাম। বিক্রেতা বা কৃষকের নাম মোঃ আসলাম আলী (৪৫), পিতা- ওমর আলী, সাং- বিলভাদুড়িয়া, পাবনা সদর। তিনি জানালেন এই নতুন জাতের ফুলকপি চাষের সফলতা।
আমাদের দেশে এই জাতটি একেবারে নতুন। হলুদ রং এর ফুলকপির নাম ভ্যালেন্টিনা। এটি মুলত জাপানিজ সবজি। গত কয়েক বছর থেকে আমাদের দেশে এই কপির চাষ শুরু হয়েছে। প্রথমে এই বীজের দাম কম থাকলেও এবার এই বীজের দাম দ্বিগুন। গত বছরে প্রতি বীজ ৩ টাকা ছিল কিন্তু এবার ডলার সমস্যার কারনে প্রায় ৫ টাকা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি প্যাকেটের মুল্য ২১০০ টাকা। তিনি দেড় বিঘা জমিতে এই নতুন জাতের ফুলকপি চাষ করেছেন। তিনি এতদিন সাদা ফুলকপি চাষ করতেন। এবার প্রথম হলুদ রং এর ফুলকপি চাষ করেছেন। চাষে বেশ লাভবান হয়েছেন। উৎপাদন সাদা কপির মতই। কিন্তু এই কপি চাষে রাসায়নিক সার কম ব্যবহার করতে হয়। ফলন সাদা কপির মত। দাম সাদা কপির চেয়ে বেশি। এই কপির স্বাদ ও গুন দ্বিগুন।
এই ফুলকপির বীজ কিভাবে পেলেন, জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এই নতুন জাতের কপির বীজ ঢাকা থেকে সংগ্রহ করেছি। কোন এক ব্যক্তির সাথে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা হয়েছিল। সেই ব্যক্তি জাপান থেকে এই বীজগুলো আমদানি করে থাকেন। এই ফুলকপি চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছি। ৬০ টাকা দামে প্রতি কেজি বিক্রি করছি। অনেকে নতুন রং এর ফুলকপি দেখে সখের বসেও কিনছে। আমরা নিজে খেয়েছি, এটি সাদা ফুলকপির চেয়ে সুস্বাদু। পরে এই হলুদ রং এর ফুলকপি সম্পর্কে নেট দুনিয়ায় খবর নিয়ে জানতে পারলাম, এ জাতের ফুলকপিতে পুষ্টিগুণ বেশি। ক্যান্সার রোধেও বিশেষ ভূমিকা রাখে। গত মৌসুমে পরীক্ষামূলক চাষে সফলতা পাওয়ায় অনেক কৃষক এবার বাণিজ্যিকভাবে চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।