ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৪ , আজকের সময় : রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

ক্যান্সার আক্রান্ত শয্যাশায়ী কর্মীর হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিলেন মৎস্য মন্ত্রী

ক্যান্সার আক্রান্ত শয্যাশায়ী কর্মীর হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিলেন মৎস্য মন্ত্রী

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : “আপনি ভোটে জিতবেন তারপর আপনার গাড়িতে ফ্ল্যাগ উড়বে।” জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ফরিদপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার আব্দুর রহমানকে একথা বলেছিলেন জাহাপুর ইউনিয়ন পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের কর্মী বিষ্ণুপদ দাস (৫০)।
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরে এখন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হয়েছেন আব্দুর রহমান।
এদিকে ক্যান্সার আক্রান্ত বিষ্ণুপদ দাসের অবস্থা এখন আরো সংকটাপন্ন। তবে মন্ত্রী হয়েও শয্যাশায়ী এই কর্মীর কথা ভুলে যাননি আব্দুর রহমান এমপি। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারী) বিকেল ৩টায় তিনি বিষ্ণুপদকে দেখতে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ভবানিপুর গ্রামে তার শ্বশুরালয়ে যান তিনি। এসময় আব্দুর রহমান তার খোঁজখবর নেন এবং ঢাকা থেকে সাথে করে নিয়ে আসা একটি জাতীয় পতাকা তুলে দেন বিষ্ণুপদের হাতে।
“তুমি বলেছিলে আমি জিতবো তারপর আমার গাড়িতে পতাকা উড়বে। তোমার কথা সত্য হয়েছে। তাই আমি তোমার জন্য এই পতাকার উপহার নিয়ে এসেছি।” একথা বলে আব্দুর রহমান বিষ্ণুপদের হাতে সেই জাতীয় পতাকা তুলে দেন। এসময় মন্ত্রী বিষ্ণুপদের ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য নগদ অর্থ সহায়তা করেন এবং তার একমাত্র পুত্র আকাশ দাসকে (২০) একটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
এসময় বিষ্ণুপদ দাসের স্ত্রী হাসি রানী দাস (৪০), মেয়ে নদী দাস (১৮), ছেলে আকাশ দাস (২০), শ্বশুর সুকুমার দাস, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শ্যামল কুমার ব্যানার্জী, কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সুনীল কুমার দাস, সেক্রেটারি সুবল কুমার অধিকারী, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সত্যরঞ্জন সাহা সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিষ্ণুপদের শ্বশুর কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুকুমার দাস জানান, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বিষ্ণুপদ দাস গত চার মাস যাবত বিছানায় শয্যাশায়ী। তার বাড়ি মধুখালী উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের কোঠরাকান্দি গ্রামে। স্ত্রী এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তিনি এখন আমার বাড়ি ভবানিপুরে অবস্থান করছেন।