ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ , আজকের সময় : সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

জেলা প্রশাসক বরাবর চেয়ারম্যানের ও সচিবের বিরুদ্ধে ইউপি ৬ সদস্যের অভিযোগ

জেলা প্রশাসক বরাবর চেয়ারম্যানের ও সচিবের বিরুদ্ধে ইউপি ৬ সদস্যের অভিযোগ

মো.বেল্লাল হোসেন, দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়।
উপজেলার ০৪নং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ লিটন ও সচিব মোঃ সহিদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দাখিল করেন ০৪নং দশমিনা ইউনিয়নের পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোসাঃ সালমা বেগম, পুরুষ সদস্য মোঃ সেলিম মোল্লা, মোঃ হাবিব চৌকিদার, মোঃ হানিফ মৃধা, মোঃ অলিউল ইলাম, মোঃ কবির হোসেন।
অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ০৪নং দশমিনা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যদের সন্মানি ভাতা, ট্রেড লাইসেন্স, ট্যাক্স, পরিষদের স্টল ভাড়া সহ রাজস্ব থেকে বাৎসরিক আয় ১ কোটি টাকা। কিন্তু ২৪ মাস পর্যন্ত ইউপি সদস্যদের সন্মানি ভাতা ৪ হাজার ৬শত টাকা হারে ছয় জন ইউপি সদস্য ৬লক্ষ ৬২ হাজার ৪শত টাকার পাওনা তার মধ্যে ইউপ সদস্যদের ১০হাজার টাকা করে ৬০ হাজার টাকা বিতরণ করেন বাকী ৬লক্ষ২ হাজার ৪শত টাকা আতœসাৎ করেন। জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু নিবন্ধন আবেদনে ও সাটিফিকেট এ সরকার নির্ধারিত পঞ্চাশ টাকা নেয়ার বিধান থাকলেও ইউপি সচিব মোঃ সহিদুল ইসলাম ৫শত থেকে ১ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
বিডবিøউবি(ভিজিডি) ২০২৩-২০২৪ সালে নামের তালিকায় ওয়ার্ডভূক্ত সুবিধাভোগীদের নামের তালিকা ইউপি সদস্যদের দিয়ে বাছাই না করিয়ে চেয়ারম্যানের ও সচিবের অনুসারিদের দিয়ে বাছাই করে নাম প্রকাশ করেন সেখানে আতœীয় করন সহ একই পরিবারে একাধিক সদস্য ও ধর্ণাঢ্য পরিবারের নাম প্রকাশ পায়।
ইউনিয়নে জেলেদের তালিকা সংখ্যা ১ হাজার ৮ শত ৩৫ জন তাদের ৪০ কেজি করে চাল বরাদ্ধ থাকলেও চার মাসে ১৬০ কেজি চাল দেবার কথা তা না দিয়ে ১২০ কেজি চাল বিতরন করে বাকী চাল গোডাউনে রেখে কালোবাজারিদের কাছে বিক্রি করে দেয়।
হতদরিদ্রদের কর্মসূচি প্রকল্পের ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে বিভিন্ন রাস্তার কাজে ৪ টি প্রকল্প নেয়া হয়। উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যায় নির্ধান করা হয় ৫০ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা । ৩১৬জন লেবার দৈনিক ৪শত টাকা হাজিরায় কাজ করার কথা থাকলেও চেয়াম্যান ও সচিব জনৈক জাকিরের ভেকু দিয়ে নামে মাত্র কাজ করিয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা আতœসাৎ করেন। ৩১৬জন জন ভুয়া ছদ্দনামি লোক দিয়ে সিম সংগ্রহ করিয়া সচিবের কাছে সংরক্ষন করে কৌশলে টাকা উত্তোলন করেন।
২১ জানুয়ারি সকাল ১০ টায় পরিষদের সচিব সহিদুল ইসলাম ইউপি সদস্যদের জরুরী সভার আহবান করলে সভার শুরুতে পূর্বে সভার বিবরন ও বর্তমান সভার বিষয় এবং বকেয়া সন্মানী ভাতা চাইলে চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যদের বরখাস্ত সহ নিজেস্ব বাহিনী দিয়ে হুমকি-দামকি দিয়ে থাকেন এবং দেখিয়ে দিবো বলেন হুমকি দেয়।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন, ইউনিয়নের পরিষদের ৬ জন সদস্য আমার বিপক্ষের লোকদের কতৃক প্রভাভিত হয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে মিথ্যা অভিযোগ করেছে ইহা সত্য নয়। হতদরিদ্রদের দিয়ে ৪০ দিনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন না করে ভেকু দিয়ে কাজ করার বিষয় জানতে চাইলেন বলেন প্রশাসনের সকলে এ বিষয় জানেন আমি এ কাজ করিনি সিবিসি যাহারা ছিলো তারা করিয়েছে এবং ৭ ইউনিয়নেই ভেকু দিয়ে কাজ করিয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মোঃ সহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয়ে শুনেছি । এ অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মনগড়া। হতদরিদ্রের ৩১৬ নামের সিম ছদ্দনামি এবং ওই সিম সংরক্ষণ ও টাকা উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি নন বলে জানান।
পটয়াখালী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নূর কুতুবুল আলম জানান, আভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।