সহকারি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আাদলতে প্রতারণার মামলা
মো.বেল্লাল হোসেন, দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি পটুয়াখলী দশমিনা উপজেলার মঙ্গলবার মদ্রাসার এক সহকারি অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দপ্তরি চাকরি দেয়ার অভিযোগে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতারণার মামলা করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিন চরশাহজালাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠানতা দাবি করেন বহরমপুর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার সহকারি অধ্যক্ষ মোঃ হানিফ। মামলার বাদী মোঃ ছালাম ঐ বিদ্যালয়ের রাজযোগালি কাজ কারায় চরশাহজালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাতা দাবিদার মোঃ হানিফের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি হয়। ছালাম মৃধার দ্বিতীয় ছেলে কে ঐ বিদ্যালয়ে দপ্তরি পদে চাকরি দেবার কথা বলে উপজেলার বহরমপুর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার সহকারি অধ্যক্ষ মোঃ হানিফ তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করে। দপ্তরি চাকরির জন্য ২০২১ সালে মোঃ ছালাম মৃধা দুই লক্ষ টাকা দেন মোঃ হানিফকে। সেই কারনে মোঃ রবিউল মৃধা বাদীর ছেলে ২০২১ সল থেকে নিয়মিত বিদ্যালয়ে কাজ করে আসছেন। গত রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে জনৈক আরিফ কে দিয়ে দপ্তরির কাজ করালে মোঃ রবিউল মৃধাকে বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে যেতে বলেন মোঃ হানিফ। এ নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা হানিফের বিরুদ্ধে মিছিল করে। দপ্তরি পদে চাকরি দেয়ার নামে রবিউলের বাবা ছালাম মৃধা বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৬ফেব্রুয়ারি) দশমিনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আাদলতে প্রতারণার মাামলা করেন। আদলতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে উপজেলা কোর্ট পুলিশ পরিদর্শকে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার বাদি মোঃ ছালাম মৃধা বলেন, আমি সহজ সরল। ঐ বিদ্যালয়ের কাজ করিয়াছি তাই হানিফের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি হয়। আমার ছেলেকে চাকরি দেয়ার নাম করে তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার দাবি করে আমি প্রাথমিক ভাবে দুই লক্ষ টাকা দেই নিয়োগ যোগদান দেবার পর বাকী এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দেবার কথা। ২০২১ সালে থেকে আমাকে আজ কাল বলে ঘুরায়। আমার কাছে পূনরায় টাকা দাবি করায় নিয়োগ যোগদান চাইলে অন্য একটি ছেলেকে দিয়ে কাজ করায়। আমি মহামান্য আদালতের দারস্থ হয়েছি ন্যায় বিচারের জন্য।
Print [1]