ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ , আজকের সময় : মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

২০১৩ সালের শিশু আইন অত্যন্ত স্মার্ট আইন : সমন্বয় সভায় জেলা ও দায়রা জজ

২০১৩ সালের শিশু আইন অত্যন্ত স্মার্ট আইন : সমন্বয় সভায় জেলা ও দায়রা জজ

রাজশাহী ব্যুরো: শিশুদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ১৯৭৪ সালের শিশু আইনে কিছু জটিলতা থাকলেও বর্তমান ২০১৩ সালের শিশু অত্যন্ত স্মার্ট আইন করা হয়েছে। এর জন্য ইউনিসেফ’কে ধন্যবাদ জানায়। এমন বক্তব্যের মাধ্যমে সবাইকে সচেতন ও আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন রাজশাহী বিচার বিভাগের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজশাহীর সম্মেলন কক্ষে ইউনিসেফ বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় আইন ও বিচার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত স্ট্রেন্দেনিং ক্যাপাসিটি অব দ্যা জুডিসিয়াল সিস্টেম ইন চাইল্ড প্রটেকশন ইন বাংলাদেশ (সিএসজেএসসিপিবি) প্রকল্পের আওতায় শিশু আইন ২০১৩ বাস্তবায়নে নানামুখী সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়।


এসময় নারী ও শিশু আদালত-২ রাজশাহীর বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহা: হাসানুজ্জামান এর প্রবন্ধ রচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ জনাব শেখ মফিজুর রহমান। প্রধান আলোচক হিসেবে বিস্তর আলোচনা করেন নারী ও শিশু আদালত-২ রাজশাহীর বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহা: হাসানুজ্জামান। এসময় তিনি বলেন, কাউকে দোষারোপ করে নয় দায়বদ্ধতা থেকে বলবো, আপনার কেন শিশুদের ব্যাপারে উদাসীন? শিশু আইন বাস্তবায়নে সর্বপ্রথম সংশ্লিষ্ট থানা কাজ করার কথা। এখানে আইনের সাথে সংঘাত শিশুদের জামিনের জন্য সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে থানার শিশু কর্মকর্তাকে। আমরা প্রবেশন কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা সবারই অবহেলা লক্ষ করছি। তবে বিচারিক ক্ষেত্রে আমারও দায়বদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু আমার উপর অতিরিক্ত মামলা চাপানোর কারনে শিশুদের মামলায় বেশী সময় দেয়া সম্ভব হয়না। আমার কাছে নারী ও শিশু মিলিয়ে ২১ শত মামলা রয়েছে, যা আমার জন্য অতিরিক্ত। শিশুদের জন্য আলাদা আদালত করতে হবে, তাহলেই শিশু আইন মামলাগুলো দ্রুত সসাধান সম্ভব হবে। এরপর তিনি একটি শিশু মামলার উদাহরণ টেনে বক্তব্য শেষ করেন।
পরে শিশু আইন ২০১৩ বাস্তবায়নের জন্য তিনটি বিষয় আগে বস্তবায়ন করতে হবে বলে উল্লেখ করেন জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হাসিনা মমতাজ। তা হলো, আলাদা শিশু আদালত, প্রবেশন কর্মকর্তা নিয়োগ, জামিনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট থানার শিশু কর্মকর্তা ক্ষমতার বাস্তবায়ন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর চাইল্ড প্রটেকশন স্পেশালিস্ট শাবনাজ জাহেরীন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আল্লাম, জেলা জজ ইমদাদুল হকসহ রাজশাহী বিচার বিভাগের বিভিন্নস্তরের বিচারকবৃন্দ, রাজশাহী জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), সসাজসেবা কর্মকর্তা, শিশু কর্মকর্তা, ইউনিসেফের বিভাগীয় ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর আবু হেনা মোস্তাফা কামালসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারী বিকালেও শিশু আদালত -১ এর সমন্নয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।