1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
চিকিৎসা সেবার মান অনেক পিছিয়ে নওগাঁর সরকারি হাসপাতালগুলোতে - dailynewsbangla
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বাঘায় নারীর লাশ উদ্ধার! পলাতক মেয়ের জামাই নওগাঁয় প্রচন্ড গরমে হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া নিউমোনিয়া সর্দি জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা  দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ নাগরপুরে আগুন দিয়ে বাড়ি পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা  আত্রাইয়ে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের পরিদর্শন স্যালাইন পানি  নিয়ে পথচারী ও ভ্যান শ্রমিকদের পাশে চেয়ারম্যান প্রার্থী লিটু শরীফ নওগাঁয় আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  বগুড়া আদমদীঘিতে উপজেলা নির্বাচনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা বাঘা উপজেলার কাদিরপুর উচ্চ বিদ‍্যালয় মাঠে বৃষ্টির জন্য ইস্তেস্কার নামাজ আদায়

চিকিৎসা সেবার মান অনেক পিছিয়ে নওগাঁর সরকারি হাসপাতালগুলোতে

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

চিকিৎসা সেবার মান অনেক পিছিয়ে নওগাঁর সরকারি হাসপাতালগুলোতে

মোহাম্মদ আককাস আলী :চিকিৎসা সেবার মান অনেক পিছিয়ে নওগাঁর সরকারি হাসপাতালগুলোতে। ওইসব হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা বঞ্চিত রোগীরা বেসরকারি (প্রাইভেট) ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। এর পিছনে কল কাঠি নড়ান সরকারি হাসপাতাল গুলোর দায়িত্বরত ডাক্তারেরা। বিনিময় রোগীদের গুনতে হয় দ্বিগুন টাকা।  তথ্যে প্রকাশ বেশি লাভের আশায় ক্লিনিক মালিকগণ ডাক্তারের বিপরীতে ওয়ার্ড বয় বা এর সাথে সংশ্লিষ্ট অন্য কাউকে দিয়ে অপারেশন করান। এতে প্রায় ভুল অপারেশনে রোগী মারা যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ১১ উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ। চিকিৎসাসেবা প্রদানে ১৯৮৯ সালে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট নওগাঁ সদর হাসপাতাল স্থাপিত হয়। এরপর ২০০৫ সালে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে এপ্রিলে প্রায় ২০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৫০ শয্যা বিশিষ্ট ৮ম তলা ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পুরান ভবনের সাথে নতুন করেন ১৫০ শয্যাবিশিষ্ট ভবন যুক্ত হয়। এরপর ২৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। ২০২০ এর ৩১ আগস্টে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের কার্যক্রমের প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া যায়। তবে পূর্বে যে জনবল দিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হতো ২৫০ শয্যার ক্ষেত্রেও তাই রয়েছে। ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল হওয়ার পর থেকে সেবা নিতে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। জেলাবাসীর একমাত্র আস্থার এই হাসপাতাল। উপজেলা থেকেও সেবা নিতে আসেন রোগিরা। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১০০ শয্যার হাসপাতালে উপ-পরিচালক, শিশু, মেডিসিন, ফরেনসিক মেডিসিন, সার্জারি, চক্ষু, চর্ম ও যৌন, অর্থোপেডিকস, রেডিওলজি ইমেজিং, কার্ডিওলজি, নাক-কান-গলা, গাইনি এন্ড অবস, প্যাথলজি, নেফ্রোলজি, নিউরোসার্জারি ও মেডিকেল অফিসার মোট ৫৬ জন চিকিৎসকের স্থলে রয়েছে মাত্র ৩৫ জন এর মধ্যে ২৮ নিয়োগ প্রাপ্ত বাকি ৭জন ডেপুটেশন কর্মরত আছেন। নার্স ৮১ এর স্থলে ৮০ জন কর্মরত আছেন একটি পদশুন্য হয়েছে। বর্তমানে ১৩ জন মেডিকেল অফিসার দিয়ে ইনডোর ও আউটডোর নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। প্রতিদিন আউটডোরে প্রায় ১৫শো থেকে ১৭শো এবং ইনডোরে প্রায় দুই শতাধিক রোগীর চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার সদর উপজেলা ছাড়া বাকি ১০টি উপজেলায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। যেখানে ডাক্তারের পদ ৩০৯ টি। এর বিপরীতে আছে ১৭৬ জন। অর্থাৎ পদশূন্য রয়েছে ১৩৩ টি। এছাড়া নার্স/সেবিকা ৩৮৪ জন এর বিপরীতে আছে ৩৫৫ জন। পদশূন্য রয়েছে ২৯ জন। জেলায় মোট ক্লিনিক রয়েছে ১০৩টি। এরমধ্যে নিবন্ধনকৃত ৭৫টি এবং নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন ২৮টি। এরমধ্যে সদর উপজেলায় নিবন্ধিত ৩০টি এবং অনিবন্ধিত ১১টি। এছাড়া ডায়গনষ্টিক রয়েছে ১৬২টি। এরমধ্যে নিবন্ধনকৃত ১১৬টি এবং নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন ৪৬টি। এরমধ্যে এরমধ্যে সদর উপজেলায় নিবন্ধিত ৪৫টি এবং অনিবন্ধিত ১৩ টি। গত ১০ বছরের ব্যবধানে নামে-বেনামে দ্বিগুন গজিয়েছে ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার। জেলা ঔষধ প্রশাসন কার্যালয়ের তথ্যমতে জেলায় প্রায় ৩ হাজার ফার্মেসি রয়েছে। যা সবই চলমান। বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন নওগাঁ শাখার সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. আতাউর রহমান খোকা বলেন, জেলায় যে পরিমাণ ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে তার কোন প্রয়োজনই নাই। এরমধ্যে অনেক মানহীন রয়েছে। সংখ্যায় কম হোক সমস্যা নাই, সেবা যেনো ভাল হয়।
নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক) ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, ২৫০ শয্যার হাসপাতাল বলা হলেও এখন পর্যন্ত অনুমোদন রয়েছে ১০০ শয্যার। আর এ ১০০ শয্যার হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে এ ১০০ শয্যা হাসপাতাল চালাতে যে পরিমাণ জনবল দরকার তা নেই। এতে করে চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় থেকে ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেবার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। অনুমোদন পাওয়া গেলে ডাক্তার, সেবিকা ও ঔষধ ও অবকাঠামো সহ সবকিছু দ্বিগুন হবে। পাশাপাশি চিকিৎসা সেবার মান বাড়বে বলে জানান তিনি। হাসপাতাল থেকে যথেষ্ট পরিমাণ ওষুধ দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, নওগাঁ মেডিকেল কলেজের নিজেস্ব কোন ভৌত অবকাঠামো না থাকায় হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ভবন থেকে মেডিকেল কলেজ সরানোর প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ