ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ , আজকের সময় : সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

দশমিনায় পায়ে পাদুকাপরে শহীদ মিনারে ফুলের তোড়া দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন শিক্ষক ও শিক্ষর্থীরা

দশমিনায় পায়ে পাদুকাপরে শহীদ মিনারে ফুলের তোড়া দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন শিক্ষক ও শিক্ষর্থীরা

মো.বেল্লাল হোসেন, দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি। পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় মাহন একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে দশমিনা এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ফুলের তোরা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর সময় পাদুকা পায়ে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অবতারণ।
ঐ শিক্ষক উপজেলা আরোজবেগী এসএ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গনিত বিষয়ের শিক্ষক মোঃ মাইনুল ইসলাম রুমি।
জানা যায় মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করার লক্ষে উপজেলার আরোজবেগী এসএ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভিন্ন ভাবে উদ্যোগ গ্রহন করে। সেই প্রস্তুতি অনুসারে ২১ তারিখ সাকলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে ৫২’ র ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। সেই ধারাবাহিকতায় ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ মাইনুল ইসলাম রুমি বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীদের নিয়ে পাদুকা পায়ে শহীদ মিনারে ফুলের তোরা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ফটোসেশান করেন। স্যারের সাথে থাকা একজন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী গাজী নিবিড় তাহার এফবিতে আপলোড দেয় পাদুকা পায়ে শহীদ মিনারে ফুলের তোরা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবদের ছবি ।  উক্ত ছবি এফবিতে আপলোড দেয়ার সাথে সথে ভাইরাল পক্ষে বিপক্ষে সমালোচনার ঝড়।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার  (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে  এসএ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ মাইনুল ইসলাম রুমি কে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কেন কথা বলতে রাজি হননি এবং কতৃপক্ষের সাথে কথা বলার জন্য বলেন।
এসএ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাওসার আলম বলেন, পদুকা পায়ে সহকারি শিক্ষক শহীদ মিনারে ফুলের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন এ বিষয়ে আমার জানা নেই।  নিউজ করে কি হবে। নিউজ করে কোন লাভনেই।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সেলিম মিয়া জানান, আমি এফবিতে দেখেছি। একজন শিক্ষক এমন কাজ করতে পারে না। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ আবুল হোসেন মাতুব্বর জানান,  তিনি একজন সামজিক সচেতন এবং সহকারি শিক্ষক তার কাছ থেকে এমনটি আশা করিনা। তিনি যে কাজটি করেছেন তা নিন্দনীয়।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মজিবুর রহমান কে তাহার ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে একাধিক বার ফোন করলে রিসিভ করেননি।
জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন) মরিয়ম বেগম  জানান, আমি বিষয়টি দেখিনি। আমাকে ছবি পাঠান তার পর দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।