ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ , আজকের সময় : রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

বোয়ালমারীতে মাতৃত্বকালিন ভাতা দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ায় ইউএনওর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ ইউপি সদস্যের নামে

বোয়ালমারীতে মাতৃত্বকালিন ভাতা দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ায় ইউএনওর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ ইউপি সদস্যের নামে

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের কদমী ৯ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সানোয়ার মোল্যার বিরুদ্ধে মাতৃত্বকালিন ভাতা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এক হতদরিদ্র পরিবারের নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাকা নেওয়ার ঘটনায় হতদরিদ্র পরিবারের সদস্য কদমী গ্রামের বাসিন্দা মো. লুৎফর রহমানের স্ত্রী নিরু বেগম ওই ইউপি সদস্যের নামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২০২৩ সালের প্রথম দিকে সানোয়ার মোল্যা নেরা বেগমের মেয়ে ও ছেলের বউকে মাতৃত্বকালিন ভাতা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ১০ হাজার টাকা নেয়। তার মেয়ের বাচ্চার বয়স ৮ মাস হয়ে গেলেও তাদের যাচাই বাচাইয়ের জন্য ডাকা হয়নি। তিনি ইউনিয়ন পরিষদে খোজ খবর নিয়ে দেখেন তাদের কোন কাগজপত্র ইউনিয়ন পরিষদে জমা দেওয়া হয়নি।

পরে ইউপি সদস্য সানোয়ার মোল্যার নিকট টাকা ফেরত চাইলে সে মাতৃত্বকালিন ভাতা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আরো ৬ মাস বিভিন্ন তালবাহানা করেন।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য সানোয়ার মোল্যা মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) বলেন, ভাতার কথা বলে টাকা নিয়েছিল অন্য একজন। বিষয়টি আমি জানি। তখন আমি মেম্বার ছিলাম না।

সানোয়ার মোল্যাইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন গত দুই বছর আগে।

অভিযোগকারী নিরু বেগম বলেন, দুটি গর্ভকালীন ভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে সানোয়ার মেম্বার নিজের আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছে। দুটির একটিও কার্ড করে দেয়নি।

রুপাপাত ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান সোনা মিয়া বলেন, ইউপি সদস্য সানোয়ার মোল্যার বিরুদ্ধে মাতৃত্বকালিন ভাতা পাইয়ে দেয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার ব্যাপারে ইউএনও স্যারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে শুনেছি। তবে ওই মহিলা হতদরিদ্র বলে জানতে পেরেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন, আমি এখনও এ ধরণের কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেব।