মেডিকেলে চান্স পাওয়া ইফাকে দশমিনা ইউএনওর ফুলের শুভেচ্ছা ও অনুদান প্রদান
মো. বেল্লাল হোসেন, দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি মেডিকেলে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থী মেহেনাজ মেহেদী ইফা কে দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা সোমবার সকালে তার কার্যালয়ে ফুলেল শুভেচ্ছ ও ১০ হাজার টাকা অনুদানের চেক তুলে দেন।
জানা যায় পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের আরোজবেগী গ্রামের অজপাড়গায় থেকে বেড়া ওঠা মেহেনাজ মেহেদী ইফা ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন বুকে ধারন করে বিঞ্জান বিভাগ নিয়ে পড়াশুনা করেন। ২০২১-২২ শিক্ষা বর্ষে এসএ মাধ্যমিক বিদ্যালয় আরোজবেগী থেকে বিঞ্জান বিভাগ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাশ, ডাঃ ডলি আকবর মহিলা কলেজ থেকে বিঞ্জান বিভাগ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাশ করেন। কোন কোচিং বা প্রাইভেট ছাড়াই মেহেনাজ মেহেদী ইফা জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষা বর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। পরিবারের সকলে খুশি। এই খুশির মাঝে বাবা-মায়ের দুচিন্তা মেডিকেলে পড়াশুনার খরচ কোথা থেকে আসবে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের সৈয়দজাফর গ্রামের দুই শতক জমিতে টিনশেট ঘরে বসাবাস বাবা-মা, দুই ভাই বোনের। সংসারের বড় ইফা। বাবার আরোজবেগী বাজারে একটি মুদির দোকান। দোকানের আয় থেকে চলে সংসারের সকল খরচ। মেয়ের এই পাওয়ায় বাবা-মা আনন্দিত হলেও মেয়ের মেডিকেলের খরচ নিয়ে চোখে- মুখে দুঃচিন্তার চাপ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা বলেন, পারিবারের কথা শুনে সত্যি অবাক হলাম অভাব অনাটনের মধ্যদিয়ে ইফার নিজের যোগ্যতায় এমবিবিএস পড়ার সুযোগ পেয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ইফার যে কোন সহযোগিতায় পাশে থাকবে।
দশমিনা মানব সেবা সংগঠনের সভাপতি এ্যাড. ইকবাল হোসেন জানান, দশমিনা উপজেলার গর্ব ও অহংকার মেহেনাজ মেহেদী ইফা। আমাদের সংগঠনের পক্ষথেকে ইভার পড়াশুনায় জন্য সাধ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করা হবে।
ইফার বাবা মো. মেহেদী মাসুদ জানান, আমার মেয়ের মেধায় আজ এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পেয়েছে। সংসারের অভাব অনাটনে প্রাইভেট বা কোচিং দিতে পারিনি। এখোন পড়াশুনার খরচ বহন নিয়ে দুচিন্তায় আছি। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো মেয়ের স্বপ্ন বাস্তবায়নে।