ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বুধবার, ৬ মার্চ, ২০২৪ , আজকের সময় : সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে তদন্তে আসা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের গাড়ি আটকে উত্তেজিত জনতার মিছিল

ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে তদন্তে আসা
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের গাড়ি আটকে উত্তেজিত জনতার মিছিল

 

মো.বেল্লাল হোসেন,দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি পটুয়াখালীর দশমিনায় এক ইউপি চেয়ারম্যানের ও সচিবের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগের তদন্তে এসে স্থানীয় জনগণের বাধার মুখে পড়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট।
বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার ৪নং দশমিনা সদর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের নিচে চেয়ারম্যান মার্কেটের নীচতলায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ লিটন ও সচিবের মো. সহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে চল্লিশ দিনের কর্মসূচিতে, ভিজিএফ ও ভিজিডির চাল বিতরণ, জন্ম নিবন্ধন সনদ ও মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদানে অনিয়ম ও দূর্নীতি সংক্রান্তে জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ করেন একই ইউনিয়ন পরিষদের ছয়জন সদস্য।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার সকাল ১০ টায় জেলার স্থানীয় সরকার বিষয়ক উপপরিচালক জুয়েল রানা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মরিয়ম বেগম সদর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় তদন্তে আসেন। ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্ষ কক্ষে প্রায় আড়াই ঘন্ট চেয়ারম্যান, সচিব , মহিলা সদস্য ওমাদারণ সদস্যদের নিয়ে অভিযোগের বিষয় আলোচনা করেন। তদন্ত শেষে ওই দুই কর্মকর্তা বের হয়ে বহনকারী সরকারি গাড়িতে ওঠলে স্থানীয় জনতার বাধার মুখে পড়েন। এসময় ওই দুই কর্মকর্তার গাড়ীর সামনে উত্তেজিত জনতা অবরোধ করে অভিযোগকারী ছয় ইউপি সদস্যদের নাম উচ্চারণ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মিছিল করতে শোনা যায় এবং ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা বলে হাতজোর করে প্রত্যহারের দাবি জানায়। পরে দশমিনা থানা পুলিশ এসে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পটুয়াখালী জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক জুয়েল রানা মুঠোফোনে বলেন. তদন্ত করে বের হয়ে আসার সময় গাড়ির সামনে কয়েকজন উৎসুক জনতা মিছিল করেছে। এতে করে তদন্ত কার্য পরিচালনায় কোন প্রভাব পরবে না।