ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪ , আজকের সময় : মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

৭ মার্চ উদযাপন প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত নেই স্বাস্থ্য, শিক্ষা, এলজিইডি কর্মকর্তারা

৭ মার্চ উদযাপন প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত নেই স্বাস্থ্য, শিক্ষা, এলজিইডি কর্মকর্তারা

রাজশাহী ব্যুরো: বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বমানচিত্রে স্থাপন করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে মাইফলক।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমাবেশে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতাযুদ্ধের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। যার অবদান বাঙ্গালী জাতি হিসেবে প্রতিটি মানুষ মনে প্রানে স্মরন করে। ৭ মার্চকে রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস ঘোষনা করে পালিত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। শুধু ৭ মার্চ নয়, বাঙ্গালী জাতির কাছে মার্চ মাসটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস, ২৬ মার্চ তারিখ বাংলাদেশের স্বাধিকার, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের এক সম্মিলন। এই মার্চ মাস নিয়ে সরকারের নানা কর্মসূচি পালন করে।

সরকারি কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে মোহনপুর উপজেলার প্রতিটি সরকারি দপ্তর, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, সকল ইউপি চেয়ারম্যানসহ প্রায় ১৪ টি বিভাগকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাক্ষরিত নোটিশে আহ্বান করা হয় প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য। ঐ নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে ৫ মার্চ প্রস্তুতি সভার কথা। প্রস্ততিমূলক সভার নোটিশ পাওয়ার পরও উপস্থিত হননি উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচএ) ডাঃ মোঃ আরিফুল কবির, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোঃ সাদরুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম মাহমুদুল হাসান, শিক্ষা অফিসার মোছাঃ রশিদা ইয়াসমিন, সহকারী প্রোগ্রাম অফিসার শাহিদা খাতুন। নোটিশের অনুলিপিটি সদয় জ্ঞাতার্থে মাননীয় সংসদ সদস্য ৫৪, রাজশাহী-০৩ (পবা-মোহনপুর) ও জেলা প্রশাসক, রাজশাহী কে প্রেরণ করা হয়েছে।

৫ মার্চ মঙ্গলবার বেলা এগারোটায় রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা পরিষদ হলরুমে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা সিদ্দিকা। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডঃ আব্দুস সালাম। নির্ধারিত সময়ে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হলেও সভায় উপস্থিত হননি উপজেলা ঐসকল কর্মকর্তারা। তারা সভায় উপস্থিত না থাকায় বির্বতকর অবস্থায় পড়েন সভার সভাপতি ইউএনও আয়েশা সিদ্দিকা। পরে তাদের ফোন করেও সভায় হাজির না হওয়ায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তাদের ভৎসনা করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা জানান ঐ কর্মকর্তা বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও গুরুত্বপূর্ণ সভায় উপস্থিত থাকেন না টিএইচএ ডাঃ মোঃ আরিফুল কবির, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোঃ সাদরুল ইসলাম। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে অফিস ফাঁকিরও অভিযোগ। তবে প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি মিথিলা দাস, ভাইস চেয়ারম্যান সানজিদা রহমান রিক্তা, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হরিদাস মন্ডল, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার অহেদুজ্জামান, উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তাকিমা খাতুন, মোহনপুর সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ মফিজ উদ্দিন কবিরাজ, প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হুমায়ন কবির, সমবায় কর্মকর্তা আনিছা দেলোয়ারা আন্জু, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নুরুন্নবী, বিএমডিএ উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, বন কর্মকর্তা জনাব আলী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বন্দনা শাহা, উপজেলা সাবেক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিকুর রহমান, খন্দকার গোলাম মোর্তজা, মৌগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আল-আমিন বিশ্বাস,ধুরইল ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, ঘাসিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম বাবলু, জাহানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী, বাকশিমইল ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা এনামুল হক, আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন বকুল, মোহনপুর হাসানিয়া তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মাও: মো: শরিফুল ইসলামসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের দিন জনবহুল এলাকায় বঙ্গবন্ধুর জীবনী প্রদর্শনী ও বিভিন্ন হাটবাজারে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার ও ঐতিহাসিক ভাষণের উপরে শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতা এবং বঙ্গবন্ধু মূরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ সহ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।