বাগমারায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মৃত্যুর মুখে আজিজুল
রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহীর বাগমারায় সামান্য কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। ঐ ঘটনায় আজিজুল (৩৫) নামের এক যুবক মৃত্যু শয্যায় হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) উপজেলার হাট মাধনগর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনা সুত্রে জানাযায়, প্রতিদিন স্ত্রী ও পুত্রবধুদের সাথে ঝগড়া করে এরশাদ আলী (৫৫)। সেই ঝগড়ার রেস বাড়ির বাইরে ও রাস্তাঘাটে নিয়ে যায় এরশাদ। এরশাদ আলী বাগমারা উপজেলার হাট মাধনগর এলাকার মৃত ওহির কবিরাজের ছেলে।
১২ মার্চ সকালেও এরশাদ স্ত্রী ও পুত্রবধুদের অশ্লীল ভাষায় গালাগাল দিতে দিতে বাইরে আসেন। এরপর মসলেম উদ্দিনের বাড়ির সামনে আসলে গালাগাল শুনতে পেয়ে মৃত হোসেন আলী কবিরাজের স্ত্রী জহুরা বিবি (৫০) বলেন, রোযা রমজানের দিন, কি কারনে গালাগাল করছে? এতে এরশাদ ক্ষিপ্ত হয়ে তেড়ে আসেন এবং জহুরা বিবিকেও গালাগাল করে এরশাদ। এসময় বাড়িতে ফিরছিল জহুরার ভাসুরের ছেলে অর্থাৎ মৃত মেহেরে ছেলে আজিজুল। চাচীকে গালিগালাজ করতে দেখে তিনি প্রতিবাদ করেন। এতে এরশাদ আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আজিজুলের উপর আক্রমন করে। এরপর ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এরশাদের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৩৫), আশরাফুল ইসলাম (২৮), শাহাদুল ইসলাম (২৫), দুলাল হোসেন (৩২) ও নাতী রাকিবুল ইসলাম (১৬)। সেখানেই আজিজুলকে কুপিয়ে জখম করে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর আজিজুলকে এলোপাতাড়ি মারধর করে এরশাদ গং। আজিজুল জ্ঞান হারালে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় এরশাদ গং। এরপর আজিজুলকে উদ্ধার করে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় প্রতিবেশি ও স্বজনরা।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, গালাগালির প্রতিবাদ করায় আজিজুলকে মারধর করেছে। তবে দীর্ঘদিন থেকে আজিজুলের পরিবারের সাথে জমিজামার মামলা চলমান রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই। যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।