দশমিনায় পুরুষাঙ্গ কেটেদিলেন স্ত্রী
মো.বেল্লাল হোসেন, দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটেদেয়ার ঘটনা ঘটে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের ০৩নং ওয়ার্ড কাউনিয়া গ্রামের মোঃ বেল্লাল ভান্ডারী বড় ছেলে সোহেল খান(৩৫)এর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (৪০) কে নিয়ে পূজাখোলা নাম স্থানে এক ভাড়া বাসায় থাকতেন সেখানেই রাত আড়াইটায় এ ঘটনা ঘটে।
পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ০৩ নং ওয়ার্ড কাউনিয়া গ্রামের বাসিন্দা বেল্লাল ভান্ডারীর বড় ছেলে মোঃ সোহেল এর সাথে এইক গ্রামের মৃত.সাত্তার কাজীর ছোট মেয়ের সাবিনা ইয়াসমিন এর সাথে দীর্ঘ ২০ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘ দিন নানা করনে অকারনে কলোহ বিদ্যমান ছিলো। সেই বিরোধের সূত্রে শনিবার মধ্যরাতে সোহেল নিদ্রায় থাকা অবস্থায় স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ধারালো ছুরি দিয়ে তাহার পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়। সোহেলের ডাকচিৎকার শুনে প্রতিবসিরা ছুটে এসে দেকে সোহেল রক্তাক্ত আবস্থায় পরে আছে। পরবর্তীতে সোহেলের প্রতিবেশিরা দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শে-রে-ই বাংলা হাসপাতালে নেয়া হলে ভর্তি না করে ঢাকায় পাঠান। বর্তমানে আশংকা জনক আবস্থায় ঢাকা নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়ান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। সোহেলের বাবা বেল্লাল ভান্ডরী জানান, ঘটনার বিষয় কিছু জানিনা রাতে সোহেলের খবর শুনে হাসপাতালে এসে বিষয়টি দেখি । ছেলের অবস্থা আশংকা তাই দশমিনা হাসপাতল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকায় রেফার করেন বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ মিটুন চক্রবর্তী জানান, সোহেল কে নিয়ে আসলে দেখা যায় তার পুরুষাঙ্গের এক তৃতীয় অংশ কাটা এবং ডান রানে পোচের জখম ২২-২৫ টি শেলাই করা হয়েছে। সোহেলের অবস্থা আশংকাজনক তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নরুল ইসলাম মজুমদার জানান, ঘটনার বিষয় শুনে ঘটনা স্থলে পুলিশ পঠানো হয়েছে। ঘটনা স্থল থেকে ভিকটিম সাবিনা ইয়াসমিনকে আটক করা হয়েছে এবং সোহেলএর পুরুষাঙ্গ কাটায় ব্যবহারিত একটি ধাড়ালো ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। সাবিনা ইয়াসমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলোমান আছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।
Print [1]