টাঙ্গাইলে বেল আনতে গিয়ে খুন হলো বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে
নুরুজ্জামান ( রানা) নাগরপুর প্রতিনিধি টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বাড়ির সীমানা এবং গাছ থেকে পাকা বেল পড়লে সেটা আনাকে কেন্দ্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
২ মে বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ১০ টার সময় এমন বর্বর রচিত ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নে পং ভাদ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাজিব হোসেন (৩০) উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের পং ভাদ্রা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলম মিয়ার ছেলে। তিনি ভাদ্রা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়ির সহ-সভাপতি।
এলাকাবাসী রাজিবের পরিবার জানায়, বাড়ির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল ওদের সাথে। ওরা আমাদের জায়গায় বেদখল করতে চাচ্ছিল। আজকে আমাদের বাড়িতে শুধু আমারা দুজন মহহিলা ছিলাম। রাজীবের মা ও আমাকে (রাজিবের স্ত্রী) কে অপরপক্ষের লোকেরা পেটাতে থাকলে আমি (রাজিবের স্ত্রী) রাজিব কে ফোন দিলে, রাজিব এসে শুধু ওদের বলে, তোদের কত বড় সাহস, তোরা আমার সামনে আমার মা এবং বৌ কে পেটাস। একথা বলার সাথে সাথেই ওরা আমার স্বামীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। কোপাতে কোপাতে মেরে ফেলে। রাজিব মাটিতে নিথর হয়ে পড়ে গেলেও ওরা এলোপাতাড়ি কোপাতে ও লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। প্রতিবেশীরা রাজিকে মেরে ফেলার পরও ওকে সাপ বাইরান বাইরাইছে।
প্রতিবেশীরা জানান, রাজিবকে হত্যার পর ওরা রক্তাক্ত জায়গায় ছাই দিয়ে ঢেকে দেয় যাতে কোন আলামত বা রক্তের চিহ্ন না থাকে। নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন বলেন, ভাদ্রা গ্রামের আজাহার ও রাজিবের মধ্যে জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে সেই জের ধরে বিরোধপূর্ণ জমিতে একটি বেল কাছ থেকে বেল পাড়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে আজাহার ও তার পরিবারের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাজিবকে কোপাতে থাকে। এসময় পরিবারের লোকজন বাধা দিতে গেলে তাদেরকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাজিবকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও ওসি জানিয়েছেন।