ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : রবিবার, ৫ মে, ২০২৪ , আজকের সময় : সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

বগুড়া আদমদীঘিতে প্রচন্ড তাপদাহে  বেড়েছে ঠান্ডা পানী গ্লুকোজ ও ডাবের দাম 

বগুড়া আদমদীঘিতে প্রচন্ড তাপদাহে  বেড়েছে ঠান্ডা পানী গ্লুকোজ ও ডাবের দাম 

 বগুড়া প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার আদমদীঘিতে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা গেছে গত কয়েক সপ্তাহের তীব্র  দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ট  হয়ে পরেছে।  এই  তীব্র গরমে নাভিঃশাস্ব  হয়ে উঠেছে শিশু, বালক এমনকি সব বয়সের লোকের । অনেকে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত একটু বাতাসের আশায় গাছের নীচে বসে থাকছে। আবার অনেকে বিলের পারে কিংবা নদীর পারে একটু স্বস্তির জন্য বসে থাকতে দেখা গেছে। গ্রামগঞ্জের অনেক মানুষ তাদের  বৈঠকখানায় শীতলপাটি বিছেয়ে হাতে তালপাখার বাতাসে বসে থাকতে দেখা গেছে। আবার অনেকে ফ্যানের বাতাসও প্রচন্ড গরম অনুভব করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে। ঘরে ঘরে জ্বর,সর্দি,কাশি, মাথা ব্যাথার দেখাদিয়েছে। চৈত্রের পর বৈশাখে চলছে তীব্র তাপদাহ।
এর মধ্যে চলছে বিদ্যুতের আসা-যাওয়া। তীব্রগরমে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেড়েছে ঠান্ডা পানীয়য়ের কদর। বেড়েছে ডাবের কদর ও আখের রসের দাম । উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ফলের রস,আখের রস, বিভিন্ন ঠান্ডা পানীয় বিক্রি করছে । নানা স্থানে বিক্রি হচ্ছে তালের শাঁস। দুপুর বেলা রাস্তা ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষক-অভিভাবক ফোরাম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মনিং স্কুল করার অনুরোধ জানিয়েছেন। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তাপপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে গরম বেশি লাগছে। তবে আগামী ২/৩ দিন পর এই অবস্থার উন্নতি হবে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে। দীর্ঘস্থায়ী বৃষ্টিহীনতায় উপজেলার কৃষি ও মাছ চাষ নিয়ে চিন্তিত চাষীরা। আমন আবাদের শুরুতে প্রচন্ড খরায় কৃষক চিন্তিত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া এই বৈরি আবহাওয়ায় দেখা দিয়েছে নানা রোগব্যাধি। টানা তাপদাহে চারিদিকে বৃষ্টির জন্য হাহাকার পড়ে গেছে। কিন্তু কাঙ্খিত বৃষ্টির দেখা নেই। বৈশাখের খরতাপে তৃঞ্চার্ত একজন মানুষ তা তৃঞ্চা নিবারণে একটি ডাব খেতে চাইলে তাকে গুনতে হবে ১১০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা।। এ ছাড়া ১ গ্লাস আখের রস ১০/১৫ টাকা,শষা ২৫ – ৩০ টাকা কেজি দরে  বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ওষুধের ফার্মেসিতে বিক্রি বেড়েছে স্যালাইন টেস্টি স্যালাইন ও গ্লুকোজ এর চাহিদা। চাহিদাসবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে শ্রবজীবী মানুষেরা। সান্তাহার পৌর শহরের কয়েকটি স্কুল- কলেজে গিয়ে দেখা গিয়েছে , প্রচন্ড গরমের কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম।