দশমিনায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্ম হত্যা
দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় রবিার দুপুর ৩ টায় নজি বাসভবনের বাথরুমে মোঃ আনোয়ার হোসেন(৪০) নামে অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্যে গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করেছেন।
উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের আবদুর রব ঢালির ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য এবং উপজেলার সদর ইউনিয়নের আবদুর গফফার মাস্টারের মেয়ে জামাই মোঃ আনোয়ার হোসেন। দশমিনা বেগম আরেফাতুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের দক্ষিন পাশে নিজ ভবনের অব্যবহারিত বাথ রুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করেন।
পারিবারিক ও থানা সূত্রে জান যায়, গত বছর বগুড়া ক্যান্টলমেন্ট থেকে এলপিআসে আসেন। অবসর সময় তিনি এলাকায় ডাবের ব্যবসা করেন। ব্যবসায় লচ হওয়ায় গত তিন মাস যাবত পাওনাদারদের কারনে ঢাকায় থাকেন। গত ২ মে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। রবিবার দুপুরে সকলের অগোচরে নিজের পাকা ভবনের দক্ষিন পাশের অব্যবহারিত ভবনের বাথরুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করেন। পরে এলাকার লোকজন এসে ঘর ও বাথরুমের দড়জা ভেঙ্গে দেখে বাথরুমে জুলন্ত অবস্থায আছে। পরে দশমিনা থানা পুলিশ এসে লাশ নামিয়ে প্রাথমিক সুরাতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠিয়ে দেন।
তার স্ত্রী মোসাঃ সাহিমা জানান, চাকরি থেকে অবসরে আসার পর থেকে ডাবের ব্যবসা করতেন। ব্যবসায় লচ হওয়ায় টাকায় চলে যান। তিন মাস ঢাকায় থাকেন। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা তেকে আসেন। শনিবার রাতে সংগ্রাম অফিসের লোক এসে টাকার জন্য বিভিন্ন কথা শুনায়। সেই থেকে তিনি মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পরেন। সকালে আমি শাখ তুলতে যাই এসে বাসায় না দেখে খোজ করি। পরে দেখি আমদের পরিত্যাক্ত বাসার সব রুম আটকানো লোকজন ডেকে দড়জা ভেঙ্গে দেখি মাথরুমে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক সুরাতহাল পর্যালোচনায় এটি আতœহত্যা। একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হবে। অপমৃত্যু মামলা তদন্ত করবো। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে প্রকৃত ঘটনা জানাযাবে।