লক্ষ্মীপুরে দস্যুদের অত্যাচারে নিঃস্ব কৃষক কোটি টাকার ফসল লুট নেই কোন প্রতিকার
সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি। ২০নং চররমনী মোহন ইউনিয়নে দূর্গম মেঘনার (মেঘা) চরে শতাধিক কৃষকের কোটি টাকার ফসল লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে সংজ্ঞবদ্ধ একটি দস্যু বাহিনীর বিরুদ্ধে। গত কয়েকদিন থেকে বিস্তৃন্ন চরজুড়ে সশস্ত্র মহড়া ফাঁকাগুলি উলুধ্বনি আর লাল পতাকা প্রদর্শনের মাধ্যমে ভয়-ভীতি ও আতংক সৃষ্টি করে চরের পশ্চিম এলাকা থেকে বের করে দিয়েছে সেখানে চাষাবাদ করা কৃষকদের। প্রতিকার ছেয়ে পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মেঘনা নদীতে জেগে ওঠা চর মেঘা ও চর কানিবগায় দীর্ঘদিন থেকে ফসল চাষ করে আসছে লক্ষ্মীপুর শতাধিক কৃষক। প্রতিবারের ন্যায় এবারও তারা সয়াবিন চাষ করেন। এখন ফসল তোলার সময়। কিন্তু তারা ফসল তুলতে পারছেন না। ভোলা থেকে আসা শতাধিক জলদস্যু ঐ চরে অবস্থান নিয়ে কৃষকদের উপর চওড়া হয় এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে চর থেকে তাদের তাড়িয়েয়ে দেয়। এতে করে কৃষকরা তাদের চাষকৃত সয়াবিন আনতে পারছেন না। চরে উঠতেতে গেলে কৃষকদের উপর হামলা চালানো হয়। অন্যদিকে কৃষকদের সয়াবিন গুলো ঐ দস্যুরা লুট করে নিয়ে যাচ্ছেন। ভুক্তভোগী সেরাজুল হক মাতাব্বর বলেন, বিগত দুই বছর যাবত তারা আমাদের ফসল উঠাতে দেয়না। ভোলার রাসেল খাঁ, হালিম খাঁ ও মিন্টু খাঁর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা চার পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। না দিলে চাষীদের সব ফসল তুলে লুটপাট করে নিয়ে যায়। লক্ষ্মীপুরে রশিদ মোল্লার ছেলে দিদার মোল্লা, শাহজালাল রাহুল সহ কয়েকজনের মদদে আমাদের সকল ফসল লুট করে তারা। গত তিনদিন আগেও ফসল আনতে গিয়ে গুলির মুখে পড়েছি। তারা গুলি করে আমাদের নদীতে ফেলে দিয়েছে। সারা বছরের খরচ চলে এই ফসল থেকে। এখন আমারা নিঃস্ব হওয়ার পথে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইউছুফ ছৈয়াল বলেন, ২০২০ইং সালেও চর মেঘায় সন্ত্রাসীরা রাকিব এবং শেখ ফরিদকে হত্যা করে। অনেকের হাত পা কেটে দিয়েছে। এখন সয়াবিন তোলার সময়। কৃষকরা সয়াবিন তুলতে গেলে ভোলার রাসেল খাঁ, হালিম খাঁ, মিন্টু খাঁর নেতৃত্বে ২০-৩০ জনের বাহিনী ফসল লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। আমি প্রশাসনের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি এ বিষয়ে যেন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করে। কৃষকদের ফসল যাতে ঘরে আনতে পারে। কৃষকরা বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছে। জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানা সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে আমাদের নিকট একটা অভিযোগ এসেছে। আমরা একটা অভিযান করবো। যারা অভিযুক্ত এবং এমন কার্যক্রমের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।