ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪ , আজকের সময় : মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বরেন্দ্রঅঞ্চলে সিন্ডিকেটের দখলে ধানের বাজার উৎপাদন খরচ ফেরত পাচ্ছেন না চাষীরা

বরেন্দ্রঅঞ্চলে সিন্ডিকেটের দখলে ধানের বাজার উৎপাদন খরচ ফেরত পাচ্ছেন না চাষীরা

মোহাম্মদ আককাস আলী : বরেন্দ্রঞ্চলে পুরোদমে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটা। হাটবাজারে জমে উঠছে বেচাকেনা। তীব্র খরার কারণে এ বছর পোকামাকড় ও রোগবালাই বেশী হওয়ায় ধানের ফলন কম হয়েছে। গত বছরে তুলনায় ৬ থেকে ৭ মন হারে ধান কম হচ্ছে এবং বাজারে ধানের দামও কম পাচ্ছেন কৃষকরা। তারপরও বাজার ব্যবস্থা সিন্ডিকেটের দখলে থাকায়
উৎপাদন খরচই ঘরে তুলতে পারছেনা কৃষকরা।
 উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় কম দামে ধান বিক্রি করায় কৃষকদের উপর প্রভাব পড়েছে।
 কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরও সূত্রে জানাযায়,চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৯৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ৬ দশমিক ৫৭ মেট্রিক টন ধান এবং ৪ দশমিক ৩৮ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এই হিসেবে জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৫৪০ মেট্রিক টন ধান ও ৮ লাখ ৩৬ হাজার ৩৬০ মেট্রিক চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এবার জেলায় জিরা, কাটারি, উচ্চফলনশীল (উফশী) ব্রি-২৮, ব্রি-৯০ ও শুভলতা জাতের ধান বেশি চাষ হয়েছে।  বিঘাপ্রতি ২২ থেকে ২৫ মণ ধান হচ্ছে। এবার প্রতি কেজি ধান উৎপাদনে কৃষকের খরচ পড়েছে ২৩ টাকা ৬০ পয়সা। গত বছর প্রতি কেজি ধানের উৎপাদন খরচ ছিলো ১৭ টাকা ৮০ পয়সা। সার ও কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি এবং কৃষি শ্রমিকের মজুরি বাড়ায় প্রতি কেজি ধান উৎপাদনে খরচ বেড়েছে ৫ টাকা ২০ পয়সা।
বোরো চাষীরা জানান, এ জেলার মানুষের প্রধান ফসল ধান। এই ধানের উপরেই তাদের সব নির্ভর করে। সংসারের খরচ, ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া, সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানসহ আনুষঙ্গিক ব্যয়- সবই ধান বিক্রির টাকা দিয়ে করা হয়। হাটবাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, বর্তমানে জিরাশাইল, কাটারিভোগ ধান ১০০০ হাজার থেকে ১০৫০টাকা,চিকন গোন্ডেন জাতীয় ধান ১১শ থেকে সাড়ে ১১শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এএসএম গোলাম হাফিজ বলেন, ধানের দাম কম হওয়ায় চাষিরা ব্যাপক লোকসান গুনছেন, দীর্ঘমেয়াদে ধান উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছেন। তিনি বলেন, “কৃষকরা তাদের ধান বিক্রি করে উৎপাদন খরচ পুনরুদ্ধার করতে ব্যর্থ হচ্ছে এবং মিলার ও ব্যবসায়ীরা ধানের দাম বাড়াচ্ছে। সমালোচকদের দাবী এই মুহূর্তে একমাত্র সরকারি নিয়ন্ত্রণই পারে কৃষকের স্বার্থরক্ষা করতে।’