বোয়ালমারীতে একটি স্কুলে তিন শিক্ষকের দেখা পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা
একটি ক্লাস করেই বসে থাকতে হয় শিক্ষার্থীদের
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত বামন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষককের দেখা পাচ্ছে না বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একটি ক্লাস করে অনেক শিক্ষার্থীকে বসে থেকে সময় পার করতে হচ্ছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন। এদিকে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা চরম দুচিন্তায় পড়েছেন তাদের ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে।
শনিবার (১৮ মে) সকালে বিদ্যালয় গিয়ে দেখা যায়, ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীসহ অনেক ক্লাসের শিক্ষার্থীরা ক্লাসের বাইরে দাড়িয়ে রয়েছে। ক্লাসের সময় ক্লাসের বাইরে কেন দাড়িয়ে রয়েছে জানতে চাইলে তারা জানায়, তাদের ক্লাসে হাজিরার নাম ডাকার পর শুধু মাত্র অংক ক্লাস হয়। তার পর আর কোন ক্লাস নেওয়া হয় না। তারা টিফিন পর্যন্ত বসে থেকে বাড়িতে চলে যায়। ৭ম ও ৮ম শ্রেণীতেও তিন চারটি ক্লাস হয়। বাকি ক্লাসগুলো শিক্ষকরা অনুপস্থিত থাকার কারণে হয় না।
এদিকে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিকাশ বৈরাগী, মো. আনোয়ার হোসেন, জহিরুল ইসলাম অনেক যাবৎ স্কুলে আসেন না বলেও শিক্ষার্থীরা জানায়। এর মধ্যে জহিরুল ইসলাম গত ফেব্রুয়ারী মাসে স্কুল থেকে গেছেন আর স্কুলে আসেননি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান মোল্যাও বেশ কয়েকদিন স্কুলে আসেন না বলেও শিক্ষার্থীরা জানায়।
বিদ্যালয়ের অভিভাবক ওসমান মোল্যা বলেন, তার একটি ছেলে ও একটি মেয়ে ওই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। স্কুলে নিয়মিত ক্লাস না করায় চরম দুচিন্তায় পড়েছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, প্রধান শিক্ষকসহ চারজন শিক্ষক স্কুলে আসেন না। অথচ তারা নিয়মিত বেতনসহ সকল সুবিধা পাচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক নাসিমা বেগম বলেন, শিক্ষকরা না আসার কারণে ক্লাসগুলো হচ্ছে না। অন্য যে শিক্ষক আছেন তারা তাদের ক্লাস নিতেই সময় শেষ হয়ে যায়, অন্য ক্লাস নিবে কি ভাবে? শিক্ষকরা কেন স্কুলে আসেন না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেন আসেন না তার আমার জানা নেই। তবে তারা নিয়মিত বেতন সহ সকল সুবিধা ভোগ করছেন।
বিদ্যালয়ের এ্যাডহক কমিটির সভাপতি আক্তার হোসেন বলেন, যে সকল শিক্ষক অনুপস্থিত তারা সকলে ছুটি নিয়েছেন। শিক্ষক জহিরুল ইসলাম ফেব্রুয়ারী মাস থেকে স্কুলে আসেন না জানতে চাইলে তিনি বলেন তার পরিবারের ঝামেলার কারণে ছুটি নিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান মোল্যার মুঠোফোনে ফোন করে শিক্ষকদের অনুপস্থিত ও ক্লাস নিয়মিত হচ্ছে না সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেখা করে সব বলবো।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকরাম হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।