ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪ , আজকের সময় : রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আমের রাজধানী নওগাঁয় এবার আড়াই হাজার কোটি টাকা আম বিক্রির সম্ভাবনা 

আমের রাজধানী নওগাঁয় এবার আড়াই হাজার কোটি টাকা আম বিক্রির সম্ভাবনা 

মোহাম্মদ আককাস আলী :
ধানের রাজ্য দখলকারী আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিতি নওগাঁয় এবার আড়াই হাজার কোটি টাকা আম বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। ২২ তারিখ থেকে আম সংগ্রহ শুরু হবে। ওই দিন থেকে কেবল গুটি জাতের আম সংগ্রহ করা যাবে। তবে সুস্বাদু আম খেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে- গুটি,স্থানীয় জাতের ২২ মে, গোপালভোগ ৩০ মে, ক্ষিরসাপাত,হিমসাগর ২ জুন, নাক ফজলি ৫ জুন, ল্যাংড়া,হাড়িভাঙ্গা ১০ জুন, আম্রপালি ২০ জুন, ফজলি ২৫জুন এবং আশ্বিনা,বারি-৪,বারি-১১,গৌড়মতি, কাটিমন ১০ জুলাই আম পাড়ার ক্যালেন্ডর প্রকাশ করা হয়। এ বছর ৩৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আম বাগান গড়ে উঠেছে। যা থেকে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টন আম উৎপাদনের আশা। ব্যানানা ম্যাংগো, মিয়াজাকি, কাটিমন, গৌড়মতি, বারি আমচা সহ দেশি-বিদেশ মিলে প্রায় ১৬ জাতের আম চাষ হয়েছে।
জাত ভেদে আম বাগানের পরিমাণ নাক ফজলি ৮৯৮ হেক্টর, ল্যাংড়া ১ হাজার ৬১৫ হেক্টর, ফজলি ১ হাজার ৪০৮ হেক্টর, গোপালভোগ ৬১০ হেক্টর, খিরসাপাত ১ হাজার ৪৭ হেক্টর, বারি-৪ আম ২ হাজার ৪০২ হেক্টর, বারি-১১ আম ৪২ দশমিক ৫০ হেক্টর, মল্লিকা ৩৭ হেক্টর, কাটিমন ১৫৪ দশমিক ৫০ হেক্টর, গৌড়মতি ১৪৩ দশমিক ২৫ হেক্টর, ভাড়িভাঙা ৪১ দশমিক ৭৫ হেক্টর, ব্যানানা ম্যাংগো ১০৭ দশমিক ৫০ হেক্টর, আশি^না ২ হাজার ৩২২ দশমিক ৫০ হেক্টর, কুমড়াজালি ১৩ হেক্টর, গুটি স্থানীয় ৬০৭ হেক্টর এবং আম্রপালি ১৮ হাজার ৪২২ হেক্টর। জেলা যে পরিমাণ আম বাগান রয়েছে তার মধ্যে আম্রপালি ৬০ দশমিক ৮০ শতাংশ। বরেন্দ্র এগ্রো পার্কের স্বত্ত্বাধিকারি সোহেল রানা বলেন- প্রায় ৭৫ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের আম বাগান রয়েছে। উত্তোম কৃষি চর্চা অনুসরণ করে বাগান করা হয়েছে। এ বছরের শুরুতে প্রচন্ড শীতের কারণে মুকুল আসতে দেরি হয়েছে। আবার প্রচন্ড খরার কারণে পানি সেচ বেশি দিতে হয়েছে। আম্রপালি, গৌড়মতি, বারি আমচা, কাটিমন বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করা হচ্ছে। ব্যানানা ম্যাংগো দেড় হাজার পিস আছে। আম ভাল রাখতে কিছুদিনের মধ্যে আমে ফ্রুড ব্যাগিং করা হবে। নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন- আম চাষিরা বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবার আম উৎপাদনের পাশাপাশি ভাল দাম পাওয়ার আশা। স্বাদ ও দাম ভাল পাওয়ায় আম্রপালি, বারি ও ব্যানানা জাতের বাগানের পরিমাণ বাড়ছে। রপ্তানি পরিসর বাড়াতে উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে আমের ফুড প্রসেসিং প্রক্রিয়াজাত করতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।