দৌলতপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে টোকেন চৌধুরী’র বিজয়
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী। তাঁর নির্বাচনী প্রতীক ছিল আনারস।
এই উপজেলায় ২ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এর মধ্যে বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী আনারস প্রতিকে পেয়েছেন ৯৭ হাজার ২শ’ ৮৯ ভোট।
মঙ্গলবার (২১ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার ওবায়দুল্লাহ এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
দায়িত্বরতরা জানান, দৌলতপুর উপজেলায় ১৪ টি ইউনিয়নে ১৪১টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়েছে। এই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৮৬ হাজার ।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়েছেন তিনজন। আর নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়েছেন চারজন।
উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসার জানান, চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী পেয়েছেন ৯৭ হাজার ২শ’ ৮৯ ভোট এবং তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দী আনিসুর রহমান (ঘোড়া) প্রতীক নিয়ে মাত্র ৫ হাজর ৩৭৬ ভোট পেয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। বেসরকারি ফলাফলে বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন।
বিজয়ী ঘোষণার পর উপজেলার বিভিন্ন সড়কে বিজয় মিছিল ও উল্লাস করে টোকেন চৌধুরীর অনুসারী, নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটাররা।
বিজয়-পরবর্তী অনুভূতি জানিয়ে টোকেন চৌধুরী বলেন, দৌলতপুরবাসী ও আনারস প্রতীকের সমর্থকদের দেখভাল করার দায়িত্ব আমার কাঁধে পড়ল।’ তাঁর সব সমর্থক, ভোটার সর্বোপরি কর্মীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শান্তির মধ্য দিয়ে দৌলতপুরবাসীকে নিয়ে আমরা ভালো থাকতে চাই এবং এই উপজেলার সব নাগরিককে ভালো রাখার চেষ্টা করব।’
এদিকে মঙ্গলবার দিনভর বিভিন্ন কেন্দ্রে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। তবে সকালে ভোটারের উপস্থিতি কম হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে শন্তোশজনক ভোটারের দেখা গেছে।
সকাল ৯টার দিকে রামকৃঞ্চপুর ৪৫ নম্বর ইনসাফনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আলী হায়দার চৌধুরী জানান, এই কেন্দ্রে তিন হাজার ৫৫৫ জন ভোটার। এই কেন্দ্রে সব প্রার্থীর এজেন্ট উপস্থিত আছেন। সকাল থেকে ভোটার উপস্থিত কম। প্রতি বুথে চার-পাঁচজন করে ভোটার এসেছেন।
টোকেন চৌধুরী বিজয়ী হওয়ার কারণ হিসেবে সাধারণ ভোটাররা বলছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ দৌলতপুর এর সভাপতি থেকে সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে উপজেলার সব এলাকার জনগণের সঙ্গে তাঁর চমৎকার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এ ছাড়া তাঁর বড় ভাই রেজাউল হক চৌধুরী দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক ও ধর্মীয় অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
তাঁর পরিবার থেকে সংসদ সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান পদে অনেকে নির্বাচিত হয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তাঁরও রয়েছে সাধারণ জনগণের মধ্যে একটি শক্ত অবস্থান।
দৌলতপুর উপজেলার পি,এস,এস মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মামুন কবিরাজ নামের এক আওয়ামীলীগ নেতা বলেন, ‘যাঁরা নির্বাচন করছেন, তাঁদের মধ্যে বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী ভাইকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে সাধারণ মানুষ। জনগণ সেই ভালোবাসা থেকে ভোট দিয়ে তাঁকে বিজয়ী করেছেন।’