জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী পালিত
মোহাম্মদ আককাস আলী : বরেন্দ্র সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের আয়োজনে আমাদের প্রেমের কবি,দ্রোহের কবি ,গানের কবি প্রাণের কবি,যুগস্রষ্টা কবি, সর্বোপরি আমাদের জাতীয়-কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মজয়ন্তীতে কবির সৃষ্টি ও স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে কবিকে নিয়ে কবিতা আবৃত্তি ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। বরেন্দ্র সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা কবি মোহাম্মদ আককাস আলীর সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে অংশ নেন কবি মোহাম্মদ আফজাল হোসেন মাসুদ রানা,মা: আব্দুর রাজ্জাক, কবি আসমা নাহার প্রমূখ। আলোচনা সভায় কবি মোহাম্মদ আককাস আলী তাঁর স্বরচিত কবিতা “হে বিদ্রোহী কবি” আবৃত্তি করেন।
“হে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম
তোমার কবিতার হংকারে
হৃদপিণ্ড বিহীন মানুষগুলো উঠে জেগে।
তোমার কবিতার ঝংকারে
ঘুমন্ত মানুষগুলো বিশ্বকে জাগ্রত করে।
হে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম
তুমি সাম্যের তুমি প্রেমের তুমি দ্রোহের
তুমি জাগরণের তুমি অমরত্বের কবি;
তোমার কবিতার বিদ্রোহী পঙ্ক্তি
শিরা-উপ শিরায় ধরায় আগুনের ফুলকি।
হে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম
শোষণ নির্যাতনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার পক্ষে
হাজারো কবিতা হাজারো গান লিখেছো তুমি;
তোমাকে কি করে ভুলবে বাংলার জনতা
প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে আছে তোমার মর্যাদা।
হে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম
তুমি নির্যাতিতের তুমি অবমানিতের নিপীড়িতের
তুমি ভূখা মানুষের ক্ষুধা-যন্ত্রণা অমৃত সুধা;
তুমি বাঁচার প্রেরণা মানবতার সত্যাগ্রহ
তুমি বঞ্চিত পথহারা বাসির অঝর কান্না।
হে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম
মিথ্যে সান্তনা দেয়নি তোমার কবিতার পঙ্ক্তি
ওরা কেন করছে মিথ্যে সান্তনার ভক্তি
জেগে ওঠো জাগো বাংলার যত কবি
কেন দিবে না তোমায় গেজেটে স্বীকৃতি।
আবৃত্তি শেষে কবির বিদ্রহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন মা:আব্দুর রাজ্জাক।
উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালের ১২ ভাদ্র জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ঢাকার তৎকালীন পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
Print [1]