নিজস্ব প্রতিবেদক: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া গ্রামের মোঃ মতিয়ার রহমান এর মেয়ে মোছাঃ তানিয়া খাতুন (১২) তারাগুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী গত (১ নভেম্বর-২০২০) রবিবার সকাল অনুমানিক ৬.৩০ মিনিটে নিজ বাড়ি থেকে প্রতিদিনের ন্যায় তারাগুনিয়া বাজারে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বের হয়, নির্ধারিত সময়ে সে বাড়ি ফিরে না আসলে বিভিন্ন জায়গায় খোজ করেও মেয়ের সন্ধান না পেয়ে,তানিয়ার বাবা বাদী হয়ে, কয়েকজন বখাটে ছেলের নাম নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় অভিযোগ করেন।
মেয়ের সন্ধান ও ফেরত পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন অসহায় পিতাসহ তাদের স্বজরা এ ঘটনায় চরম উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছেন তারা। কিন্তু ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হতে চললেও অপহৃত মেয়েকে ফেরত না পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্বেলন করে নিখোঁজ মেয়েকে ফেরত পেতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চান তানিয়া বাবা মতিউর রহমান ও স্বজনরা। সংবাদ সম্বেলনে তানিয়ার স্বজনরা অভিযোগ বলেন, অভিযোগের দু’দিন পর অপহরনের সহযোগি মহাবুলকে আটক করা হলেও অদৃশ্য কারণে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
দৌলতপুর উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের কিছু বকাটে ছেলের ওত পেতে থাকে মাঝে মাঝে পথে বাধা হয়ে দাঁড়াত, সেদিন আর রেহাই পায়নি আমার সপ্তম শ্রেণিতে পডুয়া মেয়ে মোছাঃ তানিয়া খাতুন, নানা প্রলোভন দেখিয়ে পাশের জয়রামপুর গ্রামের আনেজের বখাটে ছেলে আজিজ ও একই গ্রামের কামরুলের ছেলে ইমনসহ কয়েকজন, আমার মেয়ে প্রাইভেট পড়তে এ যাওয়ার সময় রাস্তা থেকে অপহরণ করে। এ কাজে প্রত্যক্ষ সহযোগীতা করেন শালিমপুর গ্রামের শাহাজুল, শাহাবুল ও মহাবুল নামে আরো তিন বখাটে।
বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ঔদিন দৌলতপুর থানায় একটি অভিযোগ করা হয়। কিন্তু ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হতে চললেও অপহরণকারীদের আটক বা অপহৃত স্কুলছাত্রী তানিয়াকে উদ্ধার করতে পারেনি। সংবাদ সম্বেলনে তানিয়ার বাবা মতিউর রহমান, চাচা শাহাবুল ইসলাম, দাদী রহিলা খাতুন, নানা রহিম বক্স, আকরাম হোসেনসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্বেলনে তানিয়ার বাবা মতিউর রহমান আরও বলেন, গরীব বলে আইনী সহায়তা পাওয়ার অধিকার কী আমাদের নেই।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের কোন গড়িমসি নেই। পুলিশ পুলিশের গতিতে কাজ করছে। এ ঘটনায় মামলা এন্ট্রি করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশি অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুত তানিয়াকে উদ্ধারসহ এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।