রাজশাহীতে মামলা ছাড়াই ১৬ ঘন্টা থানায় আটকে রাখা হয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকে
রাজশাহী ব্যুরো: কোন মামলা নেই, কোন অভিযোগ নেই, তবুও দাদার নির্দেশে শামসুল আরেফিন রবিন নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে ১৬ ঘন্টা আটকে রেখে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে এমন অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটনের বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
রবিন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু বাক্কার কিনু’র ছেলে। সে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
বুধবার (৫ জুন) রাতে জিজ্ঞেসাবাদ করার জন্য (কৌশল মাত্র) রবিনকে ডাকা হয় থানায়। এরপর তাকে আটকে রেখে নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে মানসিক টর্চার করে পুলিশ। এসময় রবিনের পক্ষে তার বাবা ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা সুপারিশ করেন। কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি। পুলিশের দাবী সেই দাদা বাবু’র সুপারিশ লাগবে। অবশেষে পরের দিন অর্থাৎ ৬ জুন রবিনকে ছাড়া হয়। আটকের বিষয়ে রাসিকের ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু বাক্কার কিনু’র সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কেন আটক করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ বলছে এলাকার শান্তি শৃংখলার স্বার্থে রবিনকে আটকে রেখেছে। আমি রবিনকে ছাড়াতে গেলে পুলিশ বলে, গত ৪ তারিখে যে ঝামেলা হয়েছিল সেদিনের সেই বাদীকে নিয়ে আসেন। পুলিশের কাছে আমি জানতে চাই যে, আমার ছেলের বিরুদ্ধে সেই ছেলে কোন অভিযোগ করেছে কি? পুলিশ জানায় না। তারপর বাঁকীটা আর বুঝতে বাঁকী নেই!!! তবে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ বা মামলা ছিলনা।
উল্লেখ্য, গত ০৪ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ভদ্রা জামালপুর এলাকার বাবুলের ছেলে মিঠুর সাথে গোদাগাড়ীর বিজয়নগর এলাকার অনিল চন্দ্রের ছেলে উজ্জ্বলের কথা কাটাকাটি হয়। সেই সমালোচনার জের ধরে দুইজনের মধ্যে রেষারেষি হয়। পরে ৫ জুন ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু বাক্কার কিনুর ছেলে রবিনের সম্পৃক্ততায় সামাজিকভাবে উভয়ের মধ্যে আপোষ মিমাংসা হয়। কিন্তু সেই রেষ অন্য দিকে চলে যায় এবং রবিনকে এক রাত থানায় পার করতে হয়।
বরিনের আটকের বিষয়ে রাতেই বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)’র সাথে কথা বললে তিনি জানান, তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। তাকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। জিজ্ঞেসাবাদ হলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তার বিরুদ্ধে কোন মামলা বা অভিযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না কোন মামলা বা অভিযোগ নেই। জিজ্ঞেসাবাদ শেষ হলে সসম্মানে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। বি:দ্র: ৬ জুন দুপুর ১ টায় থানা থেকে রবিনকে ছাড়া হয়েছে। রবিনের সাথে কথা বলে সে ভয়ে মুখ খুলছেন না!!
Print [1]