উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ৪র্থ ধাপ:
বোয়ালমারীতে চতুর্থ বার বিজয়ী মুশা মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান শাফি ও শাহানাজ তৈয়বুর রহমান
কিশোর, বোয়ালমারী প্রতিনিধি : ৬ষ্ঠ অনুষ্ঠেয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চতুর্থ ধাপে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে বোয়ালমারীতে চার বারের মত নির্বাচিত হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া (দোয়াত কলম)। বুধবার (৫ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বোয়ালমারী উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিজয়ীদের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এদিন কয়েকটি বিছিন্ন ঘটনা ছাড়া সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। জানা গেছে, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া (দোয়াত কলম) প্রতীক নিয়ে ৪৩২৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেলা যুবলীগের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু (ঘোড়া) প্রতীকে ৩৪৩৫৫ ভোট পেয়েছেন। এ উপজেলায় ২ লাখ ৭ হাজার ভোটের মধ্যে ১ লাখ ২ হাজার ৯২৭ ভোট কাস্টিং হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক এমএম শাফউল্লাহ শাফি চশমা প্রতিক নিয়ে ৩৮৯১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাহাদুল আক্তার তপন উড়োজাহাজ প্রতিকে পেয়েছেন ৩৬১৩৩ ভোট। সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোসা. সাহানাজ বেগম ফুটবল প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ২৪১৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনিকা রানী রাজবংশী দৈদ্যুতিক পাখা নিয়ে পেয়েছেন ২৩১৪৪ ভোট। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ ধাপে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় ৫জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। যেখানে বোয়ালমারীতে ৭৮টি কেন্দ্রে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি ইউনিয়নে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান টীম নিয়োজিত ছিলেন। নির্বাচনে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবিসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিরলসভাবে মাঠে কাজ করেছেন।