ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : সোমবার, ১০ জুন, ২০২৪ , আজকের সময় : রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

১০ টাকা চাইতে গেলেই প্রশিক্ষনার্থীর কাছ থেকে ২শত টাকা নেয়ার অভিযোগ তথ্য সংগ্রহকারীর বিরুদ্ধে।

১০ টাকা চাইতে গেলেই প্রশিক্ষনার্থীর কাছ থেকে ২শত টাকা নেয়ার অভিযোগ তথ্য সংগ্রহকারীর বিরুদ্ধে।

মো.বেল্লাল হোসেন, দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলা মৎস্য অফিসে মৎস্যজীবীদের ট্রানিং এ প্রশিক্ষনার্থীর কাছে রেভিনিউ বাবদ ১০ টাাক চাইলেই প্রশিক্ষনার্থীর প্রশিক্ষণে নাম দেবার জন্য ২শত টাকা নেয়ার অভিযোগ ওঠে তথ্য সংগ্রহকারীর বিরুদ্ধে।
উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্য সংগ্রহকারী মোঃ বুবুল এর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলা মৎস্য অফিসের আয়োজনে বুধ, বৃহস্পতিবার,রবি ও সোম দুইদিন ব্যাপি ” মাছের আহোরণত্তর পরিচর্যা ও সংরক্ষন কৌশল ” বিষয়ক প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়। ঐ প্রশিক্ষনে উপজেলার ৫০ জন মৎস্যজীবীকে দুইদিন করে প্রশিক্ষন দেয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে ঐ ৫০ জন জেলেকে দু’দিন প্রশিক্ষণ বাবদ ১হাজার ২শত টাকা দেয়া হয়। ট্রেনিং এ নাম নেয়ার সময় উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্য সংগ্রহকারী মোঃ বুলবুল ১৮ জনের কাছ থেকে ২শত করে টাকা নেয়। বৃহস্পতিবার ট্রেনিং শেষে অনারিয়াম আনার সময় একজন প্রশিক্ষনার্থীর কাছে রেভিনিউ বাদ ১০ টাকা চাইলে উপজেলা মৎস্য অফিসারকে বলেন ২শত টাকা দিছি আরো টাকা দেয়া লাগবে। তখোন প্রশিক্ষনার্থী মৎস্য কর্মকর্তাকে বলেন অফিসের তথ্য সংগ্রহকারী মোঃ বুলবুল ২শত টাকা নিয়েছে ।
ট্রেনিং এ প্রশিক্ষনার্থী করিম হোসেন ও বাউল শাহজাহান বলেন, দুই দিন ব্যাপি মাছ আহোরণত্তর পরিচর্যা ও সংরক্ষণ কৌশল বিষয়ে বুধ ও বৃস্পতিবার প্রশিক্ষণ গ্রহন করি। প্রশিক্ষন শেষে আমাকে ১হাজর ২ শত টাকা দেয়। মৎস্য অফিসের তথ্য সংগ্রহকারি বুলবুল ২শত টাকা রেখে দেয়। আমি মৎস্য অফিসারকে বললে তিনি বলেন আমি বিষয়টি দেখবো। মৎস্য অফিসারকে বলায় বুলবুল ২শত টাকা ফেরৎ দেয়। রবি ও সোম দুইদিন সরজমিনে দেখা যায় ২৫ জেলেকে নিয়ে দুইদিন ব্যাপি প্রশিক্ষণ শুরু হয়। প্রশিক্ষনের ট্রিনং সেন্টারে দেখা যায় প্রকৃত জেলে নয় ট্রেনিং এ প্রশিক্ষন নিচ্ছেন অনেকেই দশমিনা বাজারে মুগডাল ও কাপড়ের ব্যবসা করেন। তাদের সাথে নদীর কোন যোগাযোগ নাই। মৎস্য অফিসের তথ্য সংগ্রহকারীকে দিয়ে লিস্ট করা হয়েছে বলে জানা যায়।
উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্য সংগ্রহকারী মোঃবুলবুল বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা। প্রশিক্ষনার্থীদের টাকা ফেরৎ দেবার কাথা জানতে চাইলে বললে আমি জানিনা।
উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী মিলন বিশ্বাস বলেন, বুবুল কোন জেলের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে কি না তা জানিনা। রবিবার দুপুরে প্রশিক্ষণ চালকালীন উপজেলা মৎস্য অফিসার বলেন যাহারা জেলে নন তাহারা দুপুরের পর ট্রেনিং সেন্টারে আসবেন না।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, বুলবুলের টাকা নেয়ার বিষয়ে জানার পন তৎক্ষনিক টাকা ফেরৎ দেয়া হয়েছে। এটি জেলেদের প্রশিক্ষন বহিরাগতদে প্রশিক্ষণ দেবার সুযোগ নেই। আমি বিষয়টি অবগত হওয়ার পর রবিবার প্রশিক্ষণ কক্ষে বলার পর অনেকে আসেনি আজ সোমবার জেলে ছাড়া কেহই প্রশিক্ষন কেন্দ্রে নইে। অফিসের তথ্য সংগ্রহকারীকে দিয়ে প্রশিক্ষনার্থীদের লিস্ট করিয়েছিলাম। গরমিল ধরা পরায় সংশোধন কার হয়েছে।