রাজশাহী ব্যুরো : আসন্ন কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়ক যখন ব্যস্ত, ঠিক তখন মহাসড়কের বড় বাধা হচ্ছে অবৈধ ট্রাক্টর। এতে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনার সম্ভাবনা। এমন দৃশ্য চোখে পড়ছে গোদাগাড়ীর বসন্তপুর এলাকায়।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) উপজেলার বসন্তপুর গ্রাম সংলগ্ন একটি বিলে এক্সভেটর (ভেকু) দিয়ে উচু জমির মাটি কাটা হচ্ছে। সেখানে দেখা গেছে মাটিবাহী ট্রাক্টরগুলো নিয়মের তোয়াক্কা না করে মাটি বোঝায় করে মহাসড়কে উঠছে। সেখানে নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়নি কোন ভলিন্টিয়ার বা সিকিউরিটি গার্ড। অর্থের বিনিময়ে সেই মাটি দেওয়া হচ্ছে ইটের ভাটায়। এতে বিপন্ন হচ্ছে বরেদ্র অঞ্চলের প্রকৃত দৃশ্য। শুধু প্রাকৃতিক দৃশ্যই নয়, ২০১৫ সালের ভূমি সংরক্ষণ আইনেও মাটি কাটা সম্পুর্ণ নিষেধ রয়েছে। এই আইনে বলা হচ্ছে, কোন ভাবেই জমির শ্রেনী পরিবর্তন করা যাবেনা। সরজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা জানা যায়, আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাটি কেটে ইটের ভাটায় দিচ্ছেন বিসু নামের এক মাটি ও ভেকু ব্যবসায়ী। সেখানে দ্বায়িত্বরত একজন ড্রাইভার বলেন, এই মাটি বিসু কাটছে। আপনি বিসুর সাথে কথা বলেন। এরপর বিসুর সাথে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়, এখানে এই কাজের জন্য কোন অনুমতিপত্র আছে কিনা? মাটি কেটে বিক্রি করছেন এই বিষয়টি প্রশাসন জানে কিনা? কিন্তু তিনি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে, প্রতিবেদকের কাছে জানতে চান কোন নাম্বারে বিকাশ রয়েছে!! অথবা আপনি আসলে ব্যাপার সেরে নিবেন বলে ফোন রেখে দেন।
পরে বিসু সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোদাগাড়ী উপজেলার জাহানাবাদ (সুলতানগঞ্জ) এলাকায় তার বাড়ি। তার পুরো নাম শরিফুল ইসলাম বিসু। সে এই এলাকার পুকুর খননকারি ও মাটি বিক্রির সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেট। সে পারেনা এমন কিছু নাই!! মাটি কাটার বিষয়ে গোদাগাড়ীর এক সাংবাদিক জানান, এর আগেও অনেক জায়গায় মাটি কাটার অনুমতি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে মাটি কাটার অনুমতি দিলেও মাটি বিক্রির অনুমতি নাই। কিন্তু তবুও এই সিন্ডিকেট কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে দিদার্সে মাটি বিক্রি করে থাকেন। এভাবে এই এলকার জমির শ্রেনীর পরিবর্তন করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি কমিশনার (ভূমি)কে একাধিকবার ফোন দিলেও তারা ফোন ধরেন নি। পরে গোদাগাড়ী প্রেমতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ (আইসি) কে বিষয়টি জানালে তিনি জানান, এমন ঘটনা আমার এলাকায় হচ্ছে সেটি জানা নাই। আপনি বললেন, আমি এখনি বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।