কোর্ট চত্বরে স্বামী কতৃক স্ত্রীকে প্রকাশ্যে মারধর
দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে রবিবার বেলা ১২ ঘটিকায় স্বামী কতৃক স্ত্রীকে মারধরের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পরিবারিক সূত্রে জান যায়, গোপালগঞ্জ জেলাধীন টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কাশেম আলী শিকদারের মেয়ে মোসাঃ রুনালায়লার সাথে বিগত ২ বছর পূর্বে ইসলামী শরাসরিয়াত মোতাবেক পটুয়াখালী জেলাধীন দশমিনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের মৃত.মোঃ ইউনূস মিয়ার ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান এর সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর সংসারে বোনিবোনা না হওয়ায় মোঃ মিজানুর রহমান তার স্ত্রী মোসাঃ রুনালায়রার বিরুদ্ধে দশমিনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩লক্ষ টাকা আতœসাধের মামলা করেন (সিআরনং ৩৮/২৩)। রবিবার সকালে আদালতে হাজির হয়ে জামিনে মুক্ত হবার পর মিজানুর রহমান আদালতের সামনের রাস্তায় রুনালায়লাকে অকথ্য ভাষায় কুরুচিপূর্ণ গালমন্দ করলে এর প্রতিবাদ করলে মিজানুর রহমান তাকে বেধম মারধর কওে আহত করেন।
রুনালায়লা বলেন, আমরা ২ বছর পূর্বে বিবাহ করি। আমাকে বারবার বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলে। আমি টাকা না আনলে শারীরিক ও মনসিক নির্যাতন করে। আমি বাবার বাড়ি চলে যাই। কিছু দিন পর আমার বিরুদ্ধে আদালত থেকে নোটিশ যায়। আমি রবিবার (৩০ জুন) আদালতে হাজির হয়ে জামিন পাই। আদালতের সামনের রাস্তায় এলে মিজানুর রহমান আমাকে কুরুচিপূর্ণ কথা বলে। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে রাস্তায় মারধর করে আমি প্রান বাচাঁতে একটি উকিলের চেম্বারে উঠলে সেখানেও মারধর করে। আমি আমার উকিলকে জানিয়ে আদালতে বিচার প্রার্থনা করবো।
রুনা লায়লার আইনজীবী সহিদুল ইসলাম বলেন, আদালতে মামলা হয়েছে মহামান্য বিচারক বিষয়টি দেখবেন। আমার বক্কেল জামিনে মুক্ত হবার পর রাস্তার মাঝে প্রকাশ্যে মরাধর করে আহত করা বিষয়টি দুঃখজনক। আমি আদালতের স্মরপন্ন হবো।
মারধরের বিষয় মিজানুর রহমানকে জানতে চাইলে কোন কথা বলবেনা বলে চলে যায়।