ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪ , আজকের সময় : শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

উপজেলার  বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন করলেন প্রাণীসম্পদ বিভাগের বিশেষজ্ঞ দল       

উপজেলার  বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন করলেন প্রাণীসম্পদ বিভাগের বিশেষজ্ঞ দল 

( বগুড়া) প্রতিনিধি :বগুড়া জেলার  আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন করেছেন ঢাকা থেকে আসা প্রাণীসম্পদ বিভাগের একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল । গত শুক্রবার এই প্রতিনিধি দলটি দিনভর যে সকল এলাকায়  সবচেয়ে বেশি গরু খুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে সেই সব  গ্রাম পরিদর্শন করেন এসব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসার  । এ সময় বগুড়া জেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগের চিকিৎসক দল তাঁদের সহযোগীতা করেন । জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে গত ১ মাসে সান্তাহার ইউনিয়নের দমদমা গ্রামে মাত্র ১৪ দিনের ব্যবধানে ২১টি গরু মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে । গত বৃহস্পতিবার বগুড়া জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি দল ওই গ্রাম পরিদর্শনে আসেন । এরপর গত  শুক্রবার ঢাকা থেকে আসা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল মারা যাওয়া ও রোগাক্রান্ত গরু মালিকদের সাথে কথা বলেন তারা । খুড়া ও ল্যাম্পী স্কিন রোগে একই গ্রামে অল্প সময়ের ব্যবধানে অনেক গরু মারা যাওয়া ও এসব রোগে একাধিক গরু আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে ধারা বাহিক সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যেমে প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর উচ্চ পর্যায়ের বিশেষঞ্জ একটি  দল এলাকা পরিদর্শনে আসেন। হঠাৎ করে একই গ্রামে এতগুলো গরু মারা যাওয়ায় ওই গ্রামসহ আশপাশের গ্রামে গরুর মালিকদের মাঝে চরম আতংক ছড়িয়ে পড়েছে । গত সোমবার সকালে দমদমা গ্রামের পূর্বপাড়ায় হাসান আলীর প্রায় ১৪ মন ওজনের ফ্রিজিয়ান ষাঁড় খুড়া রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় । একই দিন সকালে গ্রামের দক্ষিনপাড়ায় ভুট্রু নামের আরেক কৃষকের একটি গরু মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে । এর আগে ওই গ্রামের নজরুল ওরফে নজুর ও রবিউলের দুটি,পিন্টু,ফেরদৌস,চাঁন মিয়া নান্টু,মেজর,বগা মিয়া,রায়হান ও বাদলের একটি করে গরু সহ মোট ২১টি গরু মারা যায় । জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা. আনিছুর রহমান জানান গত শুক্রবার প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক(প্রশাসন) মলয় কুমারের দাপ্তরিক চিঠি পেয়ে ওই অধিদপ্তরের অতিরিক্ত জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা ও ডা. মো, মহিবুল্লাহসহ কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষনাগারে প্রতিনিধিবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্ত গরু মালিক ও এলাকা পরিদর্শন করেন । তিনি আরো জানান  বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর দেখা গেছে, দমদমা গ্রামে মারা যাওয়া গরুগুলি খুরা
রোগে আক্রান্ত হয়েছিল এবং অপচিকিৎসাও হয়েছে। গরুগুলিকে হায়ার এ্যান্টিবাটিক দেওয়া
হয়েছিল। গরু ব্যবসায়ীদের প্রতি আমাদের আহবান কোন গরু অন্য কোন খামারে নিয়ে যাওয়া
যাবে না। গ্রাম্য পশু চিকিৎসকের কাছে গরু চিকিৎসা করা যাবে না। প্রাণী সম্মদ অফিসে সব
সময় যোগাযোগ করতে হবে।