অভাবকে হার মানিয়ে মেয়েকে ডাক্তার ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ার করলেন দরিদ্র রবি পাহান
মোহাম্মদ আককাস আলী : জন্মের পর থেকেই অভাবের সাথে যুদ্ধ করছে রবি পাহান। সেই যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন তার স্ত্রী আলো পাহান। তারা অভাবকে হার মানিয়ে নিজের সুখ শান্তি বিসর্জন দিয়ে এক মেয়ে দুই ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন সোনার বাংলার। বড় মেয়ে শিখা পাহান মেধাবী হওয়াই মেডিকেলে চান্স হয়। এমবিবিএস পাশ করার পর বিসিএসও পাস করেন ডা. শিখা পাহান। বিসিএস পাস করে ডাক্তার হিসাবে যোগদান করেন ধামইরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। বর্তমানে ডা.শিখা পাহান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত রইছেন। দ্বিতীয় ছেলে রাজিন পাহান লেখাপড়া না করে বাবা মায়ের সাথে সংসারের হাল ধরেন এবং ভাই বোনের পড়াশুনার খরচ যোগাড় করতে গিয়ে ভাড়ায় চালিত মাইকোর ডাইভার হিসেবে রুজি রোজগার করতে থাকেন। রবি পাহানের তৃতীয় ছেলে দ্বিজেন পাহান রাজশাহী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। চাকুরীর সন্ধানে এখন তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। এ ব্যাপারে শ্রমের সৈনিক রবি পাহানের সাথে কথা হলে তিনি জানান,জমা জমি না থাকায় দইয়ের ব্যবসা শুরু করি। সেই ব্যবসা দিয়ে কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা করিয়েছি। আমার দ্বিতীয় ছেলে রাজিন পাহান নিজে পড়াশুনা না করে ভাই বোনদের কথা ভেবে স্বাদ আওলাদ পরিত্যাগ করে সংসারের হাল ধরেছেন। আজ আমার মেয়ে গাহিনি ডাক্তার হওয়ায় আমার বুক ভরে যায়। শত কষ্ট অভাবকে হার মানিয়ে আজ আমি গর্বিত পিতা হয়েছি। রবি পাহান আজও মহাদেবপুরে হানিফ কাউন্টারের ফুটপাতে দই এর ব্যবসা চলমান রেখেছেন। রবি পাহানের বাড়ি মহাদেবপুর উপজেলা সদরের ঘোষপাড়া মহল্লায়। তার পিতা মৃত সবিন পাহান।