ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০২০ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

দৌলতপুরে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগে হাতিয়ে নিচ্ছে মিটার প্রতি ২হাজার টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে আলোকিত হতে যাচ্ছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চলের দুই ইউনিয়ন রামকৃষ্ণপুর-চিলমারির বিচ্ছিন্ন বেশ কয়েকটি গ্রাম। চলতি বছরই আলো জ্বলবে এ অঞ্চলে। চলছে কাজের ধুমধাম। বিড়ম্বনা হয়ে দাড়িয়েছে বিদ্যুৎ সমিতিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়া দালাল চক্র।

পল্লী বিদ্যুত সমিতির নিয়ম অনুসারে ওই অঞ্চলের বসতিদের অধিকাংশের জামানত হওয়ার কথা সাড়ে চারশ’ টাকা। কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই পরিমাণ সংযোগ ওয়্যারিং করতে ইলেক্ট্রিশিয়ানের বিল হওয়ার কথা ৫শ’ থেকে ৭শ’টাকা। আর বাজারদর অনুসারে সরঞ্জামের দাম আসে ৯শ’ থেকে ১২শ’ এর মধ্যে। রামকৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ– বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট সকল কাগজ-পত্র গ্রাহক পর্যায় থেকে একটি চক্র কৌশলে তুলে নিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মিটার প্রতি অতিরিক্ত দেড় থেকে দু’হাজার টাকা। অধিকাংশ বিদ্যুৎ প্রত্যাশিরই সুযোগ হয়নি বিদ্যুৎ অফিসের সাথে যোগাযোগের তবে ইতোমধ্যেই ঘর জুড়ে রয়েছে ওয়্যারিং।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, খুঁটি পোতা থেকে শুরু করে ওয়্যারিং পর্যন্ত নানা কৌশলে বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিতে এই চরাঞ্চলে মরিয়া হয়ে কাজ করছে কয়েকটি চক্র। খেটে খাওয়া সহজ মানুষদের ভুলভাল বুঝিয়ে বাগিয়ে নিচ্ছে অনিয়মের বাড়তি টাকা। অনেকেই আবার সেজে বসেছেন দায়িত্বশীল প্রতিনিধি।

উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে ওয়ারিং পর্যন্ত কাজ পৌছালেও চিলমারিতে কেবল প্রবেশ করছে খুঁটি আর তার। কাজের ছোঁয়া সব এলাকায় না পৌঁছালেও এই ইউনিয়নেও দালাল চক্র ইতোমধ্যেই পৌঁছে গেছে বাড়ি-বাড়ি।

কর্তৃপক্ষের নজরদারী বাড়িয়ে ভোগান্তি ছাড়া সংযোগ পেতে চাইছেন স্থানীয়রা। আর শক্ত অবস্থানের কথা জানিয়ে কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুত সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (সংশ্লিষ্ট এলাকা) এ.বি.এম মিজানুর রহমান বলেন– প্রকল্পটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে উদ্বোধনের কথা রয়েছে। দ্রুত গতীতে কাজ এগিয়ে চলেছে। ওইসব এলাকায় পল্লী বিদ্যুত সমিতির লোক ছাড়া অন্য কোন ব্যাক্তির প্রতিনিধিত্বের কোন সুযোগ নেই, প্রকল্পের বাস্তবায়নে দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্সে থাকবে পল্লী বিদ্যুত সমিতি। পাশাপাশি, গ্রাহকদের বিদ্যুৎ অফিসে সরাসরি যোগাযোগের আহ্বানও জানান এই কর্মকর্তা।

স্থানীয় সংসদ সদস্য সরওয়ার জাহান বাদশাহ বলেন– নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম ছিলো এই দুই ইউনিয়নে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের দৃষ্টান্ত হিসাবে বিদ্যুতের আলো পৌঁছানো,সেটি বাস্তবায়নের পথে, আশা করছি ২০২০ সালেই আলো জ্বলবে। কেউ কেউ সেখানে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে বলে শুনেছি, এধরনের কোন সুযোগ দেয় হবে না।

২শ’৪২ কিলোমিটার নতুন লাইন টেনে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্নে কাজ এগিয়ে চলেছে। প্রথম লটে সাড়ে আট হাজার পরিবারকে নতুন বিদ্যুত সংযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। প্রকল্পটি চলমান থাকবে, এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ প্রত্যাশি অন্তত ২৫ হাজার পরিবার রয়েছে বলে জানা গেছে।