ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বুধবার, ১১ নভেম্বর, ২০২০ , আজকের সময় : শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

চির নিদ্রায় শায়িত হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান

ডেইলি নিউজ বাংলা: চির নিদ্রায় শায়িত হলেন একাত্তরে রণাঙ্গনের বিজয়ী বীরমুক্তিযোদ্ধা, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ ইন্সপেক্টর মরহুম আব্দুল মান্নান(৬৮) । শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হলেন তিনি। বুধবার সকালে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মৌবাড়ীয়া নিজ গ্রামে অশ্রুশিক্ত শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় তাঁকে চির বিদায় জানালেন হাজারো মানুষ। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মরহুম আব্দুল মান্নানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে তিনি ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যাসহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। শারীরিক সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় এবং অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তাঁকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হসপিটালে ভর্তি করা হয়।সেখানেও তার অবস্থার আরো অবনতি হয়। কয়েকদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে ১০ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় চলে যান না ফেরার দেশে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন,সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা সহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধি গন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ ইন্সপেক্টর আব্দুল মান্নান মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই ছেলে এবং এক মেয়েসহ অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী, গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুম আব্দুল মান্নানের মেয়ে মোছাঃ মাহাবুব আরা (শিউলি) হোসেনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক,বড় ছেলে মেহেদী হাসান (মাসুম) খাগড়াছড়ি জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং ছোট ছেলে শাহীন আক্তার (সুমন) কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আব্দুল মান্নানকে আজ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে। দৌলতপুর উপজেলার মৌবাড়ীয়ার নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠিত জানাজায় দুই ছেলে মরহুম আব্দুল মান্নান এর কর্মময় জীবনের ওপর আলোকপাত করে বক্তব্য রাখেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী, খলিসাকুন্ডি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল বিশ্বাস, আড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ আনসারি বিপ্লব সহ অন্যান্যরা। মরহুমের জানাজায় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।