ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

অবশেষে কিশোরী সুখিলাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর

অবশেষে কিশোরী সুখিলাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর

হেলাল মজুমদার কুষ্টিয়া   কোনো অভিযোগ নেই বললেন সুখিলার বাবা-মা।  সদ্য সাবেক কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা এবং তার স্ত্রী সাম্মীয়ারা পারভীনের বিরুদ্ধে সুখিলা ওরফে আফরিন (১৩) নামের এক গৃহকর্মীকে গুম করে রাখার অভিযোগ উঠেছিল। বেশ কয়েকমাস ধরে কোনো খোঁজ খবর পাচ্ছে না বলে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তার সুখিলার পরিবার।  ইতি মধ্যে এই অভিযোগের ভিত্তিতে  অনলাইন সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। আজ ৫ই সেপ্টেম্বর  বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার সময় আ:লীগ নেতা আতার ভেড়ামারা ১৬ দাগ গ্রামের বাড়ি থেকে কাজের মেয়ে সুখিলা খাতুন কে তার বাবা আব্দুর রশিদ ও মাতা রুকসানা খাতুন  এসে স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে অক্ষত অবস্থায় ভেড়ামারা থেকে কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়িতে নিয়ে যাই। এ সময় সাংবাদিক সম্মেলনে কাজের মেয়ে সখিলা খাতুন যা বললেন, কোন সময় আমাকে মারধর করা করা হতো না। আমি ঢাকার বাসাতে ছিলাম আমাকে থাকা খাওয়া নিয়ে কোন কষ্ট তারা দিত না। আমাকে আমার বাবা মার সাথে ফোনে কথা বলতে দিতো।  সুখিলার বাবা মায়ের কথা আমি আমার মেয়েকে ফিরে পেয়েছি। আমি থানায় যে লিখিত অভিযোগ করেছিলাম সেটি এখান থেকে যাওয়ার পর সেটা তুলে নেব। আমার মেয়েকে আর আমি কোন বাসা বাড়িতে কাজ করার জন্য পাঠাতে চাই না। আমি আমার মেয়েকে পড়াশুনা করাতে চাই, আমার কাছে রাখতে চাই। আতা ও আতা সাহেবের স্ত্রীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নাই। মারধরের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে শরীরে কোন মারধরের চিহ্ন পাওয়া যায়নি, আমার মেয়ে ভালো আছে। আমার মেয়েকে ভালো ভাবে পেয়েছি এটাই বড় কথা। মেয়ের বাবা মায়ের হাতে ১ মাসের বকেয়া বেতন বাবদ ৫ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। গৃহকর্মী সুখিলা কুষ্টিয়া সদরের জিকে ঘাট এলাকার মেয়ে। তার বাবা মায়ের কুষ্টিয়া জিকে গেটের সামনে একটি চায়ের দোকান আছে।